জাকির হোসেন ও নির্মল মাজি
এক প্রতিমন্ত্রী ছিলই, এ বার সঙ্গে দোসর! আর তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের।
এত দিন, শ্রম দফতরের পূর্ণমন্ত্রী মলয় ঘটকের পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন জাকির হোসেন। এখন তাঁর সহ্গে জুড়ল নির্মল মাজির নাম। এমন একটা ‘নিরীহ দফতরে’ দু’দুজন প্রতিমন্ত্রীর নিয়োগ কেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জাকিরের অনুগামীরা।
জঙ্গিপুরের তৃণমূল কর্মীরাও ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না এতে মন্ত্রীসভায় জাকির হোসেনের গুরুত্ব কি কমে গেল? নতুন মন্ত্রী হিসেবে যে চার মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে নির্মল মাজিকে দেওয়া হয়েছে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। জাকির হোসেনের দফতরে নির্মলের ভাগ বসানো নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই জঙ্গিপুরে ‘চায়ে পে চর্চা’ জমে উঠেছে। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়ত অন্য কোনও দফতর দেওয়া হবে জাকিরকে। অনেকেই তাই টিভির খবরে চোখ রেখেছিলেন। কিন্তু কিছুটা হতাশ তারাও। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “ভাগীদার এলে ক্ষমতা কি বাড়ে? আসলে এর মাধ্যমে নেত্রী সতর্কতার বার্তা দিলেন জাকিরকে। কারণ বার বার তাকে নিয়ে জেলায় বিতর্ক তো কম হয় নি।” অন্য এক জেলা নেতা বলছেন, “পাশের জেলা বীরভূমে দু’জন পূর্ণ মন্ত্রী, দলের ৮ জন বিধায়ক। বড় জেলা মুর্শিদাবাদে এখন ২২ জন বিধায়কের অর্ধেকই তৃণমূলের। জেলার ভাগ্যে জুটেছে ‘সিকি’ মন্ত্রী। এখন তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল আরও এক জনকে!”
কংগ্রেসের বিধায়ক মইনুল হক বলছেন, “রাজ্যে শিল্প কোথায়? কাজেই শ্রম দফতরের গুরুত্ব আর কতখানি? তাতে দু’দু জন প্রতিমন্ত্রী? এতো মুর্শিদাবাদের সঙ্গে উপহাস ছাড়া আর কি?’’ ক’দিন আগে কলকাতায় বিড়ি শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে শ্রম মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সিটু নেতা আবুল হাসনাত খান। তিনি বলছেন, “ শ্রমমন্ত্রী তো বলেই দিলেন বিড়ি শ্রমিকদের বিষয় তো জাকিরের দেখার কথা। আসলে তিনি অসুস্থ তো, তাই হয়তো দেখতে পারছেন না। অসুস্থ বলেই হয়ত আর এক জন দেওয়া হল।” বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের এলাকা জঙ্গিপুরের রানিনগরে সভায় ব্যস্ত ছিলেন জাকির হোসেন। তাঁর দফতরে আরও এক প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের কথা শুনে জাকির বলছেন, “সবই দিদির ইচ্ছে। তিনি যা ভাল বুঝেছেন করেছেন। আমরা শুধু তার নির্দেশ মেনে কাজ করে যাব।’’