ফাইল চিত্র।
নিমতিতা কাণ্ডের তদন্তে ফের মুর্শিদাবাদের সুতিতে গেল জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। এর আগেও তদন্তে সুতিতে এসেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তবে আগের বার সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসকে জেরা করলেও বুধবার কাউকে জেরা করা হয়নি। বদলে স্থানীয় দুই বাসিন্দার বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় তারা। তদন্তকারীদের সন্দেহ এঁদের দু’জনেই নিমতিতা বিস্ফোরণে বারুদ সরবরাহ থেকে শুরু করে বোমা তৈরির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন। যদিও দু’জনের কাউকেই এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
বুধবার সকালেই ৬ জন তদন্তকারীর একটি দল সুতি থানায় পৌঁছয়। সেখান থেকে নতুন চাদরা এলাকার বাসিন্দা মোহন শেখ ও সানাউল শেখের বাড়িতে যায় তদন্তকারী দলটি। খবর ছিল, মোহনের কাছে বারুদ কিনে শাহিদুলের পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা তৈরি করা হয়। মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্ত শাহিদুল শেখ এবং আবু সামাদকে জেরা করেই এই তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে আসে। দু’জনেরই বাড়িতে বুধবার তল্লাশি চালায় এনআইএ। পরে সুতি থানাতেও মোহন এবং শাহিদুলের ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
গত ২ মার্চ নিমতিতা বিস্ফোরণের তদন্তভার হাতে নেন গোয়েন্দারা। তারপর থেকে এই নিয়ে তিনবার তদন্ত মুর্শিদাবাদে এলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এর আগে গত ১৮ মার্চ সুতিতে বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসকে জেরা করেছিল এনআইএ। ৩ মার্চ মুর্শিদাবাদের নিমতিতায় দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে তারা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। গুরুতর আহত হন রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ অনেকেই। এই ঘটনায় প্রথমে সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও পরে এনআই-কে দেওয়া হয় ঘটনার তদন্তভার।