—ফাইল চিত্র।
কোভিড আক্রান্ত। তাতেও রেহাই নেই। হেফাজতে নিয়ে জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোর কোভিড টেস্ট করাতে আদালতে আবেদন জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
গত শুক্রবারই এনআইএ ছত্রধর মাহাতো-সহ পাঁচজনকে সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো খুনের মামলায় হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আবেদন জানায় আদালতে। ২০০৯-এর অগস্ট মাসে লালগড়ে সিপিএম নেতা খুনের ঘটনার তদন্তভার এ বছর এপ্রিল মাসে গ্রহণ করে এনআইএ।
তদন্ত শুরু করে শালবনিতে এনআইএ-র ক্যাম্প অফিসে বেশ কয়েক দফা ছত্রধরকে জেরা করেন এনআইএ তদন্তকারীরা। তার পর বিশেষ এনআইএ আদালত তদন্তকারী সংস্থার আবেদন মঞ্জুর করে ওই মামলায় অভিযুক্তদের কলকাতায় আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়। শুক্রবর আদালতে ছত্রধর ছাড়া বাকিরা হাজির হলে এনআইএ-র আইনজীবী পাঁচ জনকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। তখনও আদালতে পৌঁছননি ছত্রধর। তাঁর আইনজীবী কৌশিক সিন্হা বিচারককে জানান, ছত্রধর আদালতের পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ওই দিন বিচারক এনআইএ-র আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন সোমবার।
আরও পড়ুন: হাজরা? কে হাজরা? দিল্লি থেকে কলকাতা, জবাব খুঁজছে গোটা পরিবার
এ দিন শুনানি শুরু হলে ছত্রধরের আইনজীবী কৌশিকবাবু বলেন,‘‘ছত্রধর মাহাতো রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষা করান। ওই দিনই তাঁর পরীক্ষার ফল পজিটিভ পাওয়া যায়। তিনি নিভৃতবাসে রয়েছেন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। ফলে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি।”
আরও পড়ুন: ‘সেনার জন্য’ আনা ফরাসি ড্রোন ঘিরে রহস্য কলকাতা বিমানবন্দরে
কৌশিকবাবুর এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁদের আইনজীবী আদালতকে জানান, ‘‘হাজিরা দেওয়ার সময় ছত্রধরের এই ভাবে কোভিড আক্রান্ত হওয়া বিষয়টি সন্দেহজনক।” তিনি ছত্রধরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা আবেদন জানান আদালতে। এনআইএ-র পক্ষে আদালতে আবেদন জানানো হয় ছত্রধরকে গৃহবন্দি করার। তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানায়, তাঁরা ফের ছত্রধর মাহাতোর কোভিড পরীক্ষা করাতে চান। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই আবেদন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি আদালত। সোমবার সন্ধ্যায় বিচারক দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে এনআইএ-র আবেদন খারিজ করে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ অক্টোবর হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। তার মধ্যে ছত্রধরের কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত নথি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও গোটাটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন কৌশিকবাবু। তিনি বলেন, ‘‘১১ বছর পরে ওই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই নতুন করে তদন্ত করা শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।”