অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।
গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ‘পরিকল্পনা’ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তা আরও সাত দিন পিছিয়ে গেল। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টে শুনানি ছিল। ওই মামলায় কোনও নির্দেশ দিলেন না বিচারপতি। জানিয়ে দিলেন, পরবর্তী শুনানি আগামী ১ ডিসেম্বর। যার অর্থ, আগামী সপ্তাহে বৃহস্পতিবারের আগে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি।
গরু পাচারের তদন্তে অনুব্রতকে প্রথমে সিবিআই গ্রেফতার করে। সম্প্রতি ওই মামলায় আসানসোল জেলেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি (যদিও অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত)। কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে আসতে চেয়ে রাজধানীর রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদনও করে তারা। তার বিরুদ্ধেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতার আইনজীবীরা। পোড়খাওয়া আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর হয়ে সওয়াল করেন। সিব্বলের যুক্তি ছিল, অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অপরাধের অভিযোগ, তার সবটাই পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। যে সব সম্পত্তি আটক করা হয়েছে, তা-ও পশ্চিমবঙ্গে। ইডি প্রয়োজনে সেখানেই অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক।
ইডির আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি ছিল, একই মামলায় অনুব্রতের এককালের দেহরক্ষী গরু পাচার মামলায় ধৃত সহগল হোসেনকেও দিল্লি এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। এর পরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার উদাহরণ টেনে পাল্টা সওয়াল করেন সিব্বল। গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে দিল্লির বদলে প্রয়োজনে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে ইডিকে নির্দেশ দেয়। শীর্ষ আদালতের সেই রায়ই তুলে ধরেন সিব্বল। সেই মামলাতেই শুক্রবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করলেন বিচারপতি।