শিল্পাঞ্চল ও স্কটল্যান্ডের যোগসূত্রের খোঁজে গবেষণা 

শান্তনুবাবু জানান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়াদের নিয়ে তৈরি ‘আসানসোল হেরিটেজ গ্রুপ’ ও এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কলেজ অব আটর্স’ যৌথ ভাবে রানিগঞ্জের খনি এলাকাকে কেন্দ্র করে ভারতবর্ষে রেলপথের বিস্তার, খনি-শিল্পাঞ্চল তৈরির ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেছে।

Advertisement

নীলোৎপল রায়চৌধুরী

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০১:২০
Share:

দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত স্থান পরিদর্শন। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ

আসানসোল-রানিগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের বিবর্তনের সঙ্গে স্কটল্যান্ডের যোগাযোগ কী, তার খোঁজে এক বছর আগে শুরু হয়েছে গবেষণা। সেই গবেষণার সূত্র ধরেই বুধবার দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি খনি এলাকা ঘুরে দেখলেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডেপুটি ডিন অফ রিসার্চ’ এডওয়ার্ড হলিস, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘আসানসোল হেরিটেজ গ্রুপে’র সদস্যেরা।

Advertisement

শান্তনুবাবু জানান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়াদের নিয়ে তৈরি ‘আসানসোল হেরিটেজ গ্রুপ’ ও এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কলেজ অব আটর্স’ যৌথ ভাবে রানিগঞ্জের খনি এলাকাকে কেন্দ্র করে ভারতবর্ষে রেলপথের বিস্তার, খনি-শিল্পাঞ্চল তৈরির ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেছে। গবেষণার লক্ষ্য, দ্বারকানাথের স্মৃতি বিজড়িত নানা প্রতিষ্ঠান, খনি এলাকার ইতিহাস নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি এবং সংরক্ষণের জন্য সরকারি, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দেওয়া।

এ দিন এডওয়ার্ড হলিস জানান, দ্বারকানাথ ঠাকুরকে এডিনবরা পুরসভার মেয়র ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি’ সম্মান দিয়েছিলেন। সম্মানিত হওয়ার পরে এডিনবরা ও কলকাতায় দ্বারকানাথ যে বক্তব্য রেখেছিলেন, সেই সব নথি তিনি জোগাড় করেছেন বলে জানান হলিস। তিনি আরও জানান, রানিগঞ্জ থেকে বারাণসী পর্যন্ত রেললাইনের নকশা প্রস্তুত করেছিলেন স্কটল্যান্ডের যে ইঞ্জিনিয়ার, সেই জর্জ ট্রান বুলের অপ্রকাশিত ‘ডায়েরি’-ও উদ্ধার করা গিয়েছে। হলিস বলেন, “আমাদের মনে হয়, খনিকে কেন্দ্র করে নারায়ণকুড়িতে ছড়িয়ে থাকা দ্বারকানাথের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থানগুলি সংরক্ষণ করে আন্তর্জাতিক ‘হেরিটেজ’-এর তকমা দেওয়া দরকার। জরুরি এ বিষয়ে গবেষণাও।’’

Advertisement

কী ভাবে যোগাযোগ হল এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে?

আসানসোল হেরিটেজ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও হেমন্ত মণ্ডল জানান, আসানসোল ও রানিগঞ্জের বিবর্তনের নেপথ্যে স্কটল্যান্ডের ভূমিকার খোঁজে এক বছর আগে তাঁরা এবং এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় ‘আসানসোল অ্যান আনফিনিসড বায়োগ্রাফি’ শীর্ষক গবেষণা শুরু করেন।

এ দিন নারায়াণকুড়ি এলাকায় দ্বারকানাথের তৈরি জেটি, বাংলো, খনিকর্মীদের ভূগর্ভে নামার খনিমুখ, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উপরে তোলার জন্য ‘হলেজঘর’, খনির কাজ পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক ভবনের ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখা হয়।

ঘটনাচক্রে ২০১৮-র মার্চে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন দ্বারকানাথের স্মৃতি বিজড়িত এলাকাকে হেরিটেজ ঘোষণা করে। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ যাবৎ সংরক্ষণের জন্য কোনও পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement