ম্যানগ্রোভ বাঁচাও অভিযানে ডিওয়াইএফআই কর্মী-সমর্থকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
চেনা ছকের বাইরে গিয়ে নতুন ধরনের বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়ে ময়দানে নেমেছে যুব সিপিএম। উপলক্ষ, কলকাতায় সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্মেলন। দীর্ঘ ২৭ বছর পরে সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন আয়োজন করতে চলেছে বাংলা। আর সেই আয়োজনকে কেন্দ্র করেই ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ বাঁচাও অভিযান— নানা উদ্যোগে শামিল হয়েছে ডিওয়াইএফআই।
বিধাননগরের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রে (ইজ়েডসিসি) আগামী ১২ থেকে ১৫ মে হতে চলেছে ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলন। কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ১২ মে ওই সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশে থাকার কথা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ এ এ রহিম, সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের। সচরাচর দল বা সংগঠনের কোনও প্রয়াত নেতার নামে সম্মেলন-স্থলের নামকরণই বামপন্থী রেওয়াজ। কিন্তু এ বার ডিওয়াইএফআইয়ের সম্মেলনের জন্য ওই এলাকার নামকরণ করা হচ্ছে প্রয়াত ফুটবলার দিয়োগো মারাদোনার নামে। সম্মেলন আয়োজনের খরচ জোগাড়ের জন্যও জনতার দ্বারস্থ হয়েছেন সিপিএমের যুব নেতা-কর্মীরা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই আর্থিক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। বাংলায় গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী ঐশী ঘোশ, দীপ্সিতা ধরেরা এ ভাবেই ‘ক্রাউড ফান্ডিং’-এর মাধ্যমে ভোটের খরচ তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
যুবদের জন্য কর্মসংস্থান, বিভাজনের রাজনীতি রুখে সম্প্রীতির আবহ ফেরানো আসন্ন ওই সম্মেলনের মূল রাজনৈতিক মন্ত্র। তার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষার প্রয়াসেও নেমেছে ডিওয়াইএফআই। যার অন্যতম অঙ্গ হিসেবে ডাক দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন বাঁচানোর। সেই লক্ষ্যে সোমবারই হাসনাবাদ এলাকায় এক হাজার ম্যানগ্রোভের চারা রোপন করতে গিয়েছিলেন মীনাক্ষী, কলতান দাশগুপ্ত-সহ যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে চলছে সম্মেলন উপলক্ষে প্রচার। যেমন, কলকাতায় বিনানি হল থেকে ত্যাগরাজ হল পর্যন্ত বইক মিছিল করেছেন সিপিএমের যুব কর্মী-সমর্থকেরা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘দেশের জনসংখ্যার বিন্যাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বামপন্থী সংগঠনকেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে, তরুণ প্রজন্ম সামনে এগিয়ে আসছে। সেই প্রক্রিয়াতেই যুব সংগঠনের এ বারের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। প্রথাগত কাজকর্মের বাইরেও যুব প্রজন্ম নানা নতুন প্রয়াসে এগোচ্ছে।’’