রায়গঞ্জে বন সহায়ক চাকরি প্রার্থীদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র
শূন্যপদের তুলনায় আবেদন জমা পড়েছে প্রায় হাজার গুণ। রাজ্যে বন সহায়ক নিয়োগের ওই হাজার হাজার আবেদন নিয়ে ঘাম ছুটছে মালদহ ও রায়গঞ্জের সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের। সোমবার, আবেদনের শেষ দিনে মালদহ ও রায়গঞ্জে বন বিভাগের সামনে ভিড় জমান হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী।
বন বিভাগের দাবি, বন সহায়কের মাত্র ৫০টি শূন্যপদের জন্য মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রায় ৫০ হাজার চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। বন সহায়ক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাশ। রায়গঞ্জের বিভাগীয় বনাধিকারিক দাওয়া সাংমু শেরপা বলেন, “সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমনকি পিএইচডি করা অনেক প্রার্থী বন সহায়ক পদের জন্য আবেদন করছেন বলে জানা যাচ্ছে।”
বনকর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য রাজ্য জুড়ে চুক্তিভিত্তিক বন সহায়ক নিয়োগ করা হচ্ছে। বন বিভাগের দাবে, রাজ্যে মোট ২০০০ বন সহায়ক নেওয়া হবে। এর মধ্যে, মালদহ ও দুই দিনাজপুরের জন্য ৫০টি শূন্যপদ রয়েছে। সে শূন্যপদের জন্য, গত ১৯ মে থেকে আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের চাকরিপ্রার্থীরা রায়গঞ্জে গিয়ে আবেদন পত্র জমা দেন। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের জেলায় আবেদন পত্র দেন।
এ দিন আবেদনের শেষ দিনে মালদহ ও রায়গঞ্জের বনবিভাগের সদর দফতরে আবেদন করতে চাকরিপ্রার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। সে ভিড় সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। স্নাতকোত্তর পড়ুয়া মালদহের বাসিন্দা স্নেহা সরকার বলেন, “এখন চাকরির তেমন কোনও পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই, চুক্তিভিত্তিক হলেও বন সহায়ক পদে চাকরির জন্য আবেদন করছি।” অপর এক চাকরিপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র পবিত্র দাস বলেন, “এখন নির্দিষ্ট চাকরির জন্য বসে থাকলে হবে না। সে জন্য সবাই বন সহায়কেও চাকরির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে।”
হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর আবেদনপত্র বাছাই নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বনবিভাগের কর্মী, আধিকারিকদের। এক কর্মী বলেন, ‘‘এখন শুধু আবেদনপত্র বাছাই করছি। অন্য কোনও কাজ হচ্ছে না।’’ মালদহের ডিএফও জিজু জাসপার জি বলেন, “বন সহায়কের জন্য ৫ জুন পরীক্ষা হওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী আবেদনপত্র বাছাই পর্ব শুরু হয়েছে।”