ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা। —নিজস্ব চিত্র।
দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রথম দিনেই চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা। প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যেও। অধিকাংশ ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে ঝাঁপ ফেলা বহু এটিএমেও। আবার অনেক এটিএম খোলা থাকলেও তাতে টাকা নেই বলে অভিযোগ। ফলে গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও চূড়ান্ত ভোগান্তিতে গ্রাহকেরা।
দেশ জুড়ে আজ, শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আজ এবং আগামিকাল অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ন’টি কর্মচারী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস (ইউএফবিইউ)। গত কাল বেতন বৃদ্ধি নিয়ে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের (আইবিএ)-র সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ওই সংগঠনের নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আলোচনা ব্যর্থ হয়। ফলে ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা তাঁদের দাবিতে অনড় থেকে ধর্মঘটের পথে হাঁটার রাস্তাই বেছে নেন। আজ ও আগামিকাল, পর পর দু’দিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের পরের দিন পড়ছে রবিবার। ফলে সব মিলিয়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে টানা তিন দিন। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে চলেছেন গ্রাহকেরা। এই ধর্মঘটের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ছাড়া বেসরকারি এবং বিদেশি ব্যাঙ্কও রয়েছে। তবে হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংলগ্ন বিভিন্ন এলকায় এটিএম পরিষেবা চালুর চেষ্টা করছে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের পক্ষ থেকে।
এর আগে ব্যাঙ্ক কর্মচারী-অফিসারদের সংগঠনগুলি জানিয়েছিল, কর্মীদের বেতন ২০ শতাংশ বাড়াতে হবে। কিন্তু ১৫ শতাংশের বেশি বেতন বৃদ্ধিতে রাজি ছিল না আইবিএ। শুধু বেতন বৃদ্ধিই নয়, পেনশন, অফিসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া, সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ-সহ ১২ দফা দাবিও জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও বিষয়েই নিজেদের দাবি না মেটায় ব্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়নগুলি ধর্মঘটের ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: জামিয়ার বাইরে সিএএ-বিরোধী মিছিলে গুলি, দর্শক দিল্লি পুলিশ
আরও পড়ুন: উহান থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে বিশেষ বিমান, দুই চিকিৎসক নিয়ে রওনা আজই
শনিবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হবে। পাশাপাশি চলবে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটও। ফলে তার প্রভাব ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাজেটের দিন শেয়ার বাজারের দিকে বিশেষ নজর থাকবে ব্যবসায়িক মহলের। কিন্তু আগামিকাল ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় শেয়ার বাজারের লেনদেনেও প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।