রানিগঞ্জে অনুসন্ধানী দল পাঠাবে কমিশন

জবাবের খোঁজে অনুসন্ধানকারী দল পাঠাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ৯ থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে তাদের কয়েক জন অনুসন্ধানকারী আধিকারিক আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকায় আসছেন বলে কমিশন সূত্রের খবর।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:২৭
Share:

হাঙ্গামা, রক্তপাত তো দেখাই গেল। কিন্তু ঠিক কী কারণে রানিগঞ্জ-আসানসোলে এটা ঘটল?

Advertisement

জবাবের খোঁজে অনুসন্ধানকারী দল পাঠাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ৯ থেকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে তাদের কয়েক জন অনুসন্ধানকারী আধিকারিক আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকায় আসছেন বলে কমিশন সূত্রের খবর। গোটা ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন তাঁরা। কয়েক দিন আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে চিঠি দিয়ে ওই এলাকার অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল কমিশন। তার পরেও তথ্যানুসন্ধানের জন্য কমিশনের সদস্যদের সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশকর্তাদের একাংশের অনুমান, এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন কমিশনের অনুসন্ধানকারীরা। কারণ, কমিশনের কাছে অভিযোগ ছিল, অশান্তির সময়ে আক্রান্তদের কেউ কেউ ১০০ নম্বরে ফোন করে সাহায্যের আর্জি জানিয়েও পুলিশের সহযোগিতা পাননি। ফলে সামগ্রিক অভিযোগ এবং বাস্তবিক পরিস্থিতি যাচাই করতে পারেন অনুসন্ধানকারীরা।

Advertisement

রামনবমীকে কেন্দ্র করে ২৫ মার্চ থেকে কয়েক দিন অশান্ত ছিল আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকা। ওই অশান্তিতে প্রাণহানির পাশাপাশি আহত হন অনেকে। গুরুতর জখম এক পুলিশ অফিসার এখনও চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি সামলাতে সিনিয়র অফিসারদের নেতৃত্বে আসানসোল-রানিগঞ্জ এলাকায় একটি বাহিনী পাঠাতে হয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। পরিস্থিতির এতটাই গুরুতর হয়ে উঠেছিল যে, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ছুটে যান সেখানে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কমিশন। সিনিয়র এক পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে বিশেষ একটি তদন্তকারী দল গঠনের প্রস্তাবও তারা দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement