এ ভাবেই ছড়াচ্ছে শব্দ দূষণ। নাগেরবাজারে। নিজস্ব চিত্র
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ‘চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ’ (মিজ়ারেবলি ফেলড)। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার বা পর্ষদ শুধু মুখেই দাবি করেছে এবং নিয়মরক্ষার জন্য কয়েকটি হলফনামা জমা দিয়েছে। শব্দ দূষণ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যকে এ ভাবেই বিঁধল জাতীয় পরিবেশ আদালত।
শব্দ দূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ বা দূষণবিধি ঠিক মতো পালন হচ্ছে কি না, শুধু তা দেখতেই এসপি বা ডিসিপি পদমর্যাদার এক জনকে নিয়োগ করতে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিক কলকাতা ও হাওড়ার শব্দ দূষণ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় দেখভাল করবেন। তাঁকে অন্য পুলিশ আধিকারিকেরা সব রকম ভাবে সাহায্য করবেন। দু’পক্ষের মধ্যে সপ্তাহে অন্তত এক বার বৈঠক করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিবেশ আদালতকে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
শব্দ দূষণ সংক্রান্ত তথ্য আপলোড ও জনসাধারণকে জানানোর জন্য পৃথক একটি ওয়েবসাইট তৈরির করতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সঙ্গে অভিযোগ জানানোর জন্য ২৪ ঘণ্টার ভিত্তিতে শুধু শব্দ দূষণের জন্যেই হেল্পলাইন, ইমেল, এসএমএস বা টেলিফোনেও অভিযোগ নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এ ছাড়াও নিয়মভঙ্গ করলে জরিমানা, শব্দযন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা, ‘নয়েজ় কন্ট্রোল ডিভাইস’ লাগিয়ে অডিয়ো ব্যবস্থা বা শব্দযন্ত্র তৈরি করা যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘শুধুমাত্র শব্দ দূষণের বিষয় দেখতে এসপি বা ডিসিপি মর্যাদার আধিকারিক নিয়োগ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। পরিবেশমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘জাতীয় আদালতের নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেব।’’