রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনায় মঙ্গলবার কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনের দাবি, শাসকদলের দুষ্কৃতীরা রামপুরহাটের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ।
কমিশনের দাবি, শাসকদলের দুষ্কৃতীরা রামপুরহাটের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাট-কাণ্ডে তদন্তের দাবি জানিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে চিঠি দিল জাতীয় শিশু অধিকাররক্ষা কমিশন। চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, এই ঘটনায় তদন্তের পর তিন দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট কমিশনের কাছে জমা দেওয়া যেতে পারে।
মঙ্গলবার ওই চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের ইন্ধনে রাজ্যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। রামপুরহাট-কাণ্ডে শিশু এবং মহিলাদের অধিকার খর্ব হয়েছে বলেও দাবি তাদের। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে নোটিস দিয়েছে কমিশন।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনায় মঙ্গলবার কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনের দাবি, শাসকদলের দুষ্কৃতীরা রামপুরহাটের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে একাধিক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিশু ও মহিলারা রয়েছেন। তাঁদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনার তদন্ত করা হোক বলে দাবি জানিয়েছে কমিশন। বীরভূমের পুলিশ সুপারের উদ্দেশে কমিশনের আর্জি, ঘটনার তদন্তের পর কী পদক্ষেপ করা হল, তা তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে জানানো যেতে পারে।
জাতীয় শিশু অধিকাররক্ষা কমিশনের চিঠি। —নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় শিশু অধিকাররক্ষা কমিশন ছাড়াও রামপুরহাট-কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশিস গোয়েল। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উল্লেখ করে চিঠিতে ওই আইনজীবীর দাবি, সোমবার রাতে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় মৃত ১০ জনের মধ্যে দু’জন শিশু-সহ ছয় মহিলাও রয়েছেন।