প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
বহির্বিভাগে রোগী দেখা চলছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন রোগীরা। গত মাস ন’য়েক ধরে এটাই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের ছবি। সেই মেডিক্যাল কলেজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘উদ্বোধন’ করবেন বলে সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে। গত ১৪ অক্টোবর কলেজের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিত হয়েছে। সূত্রের খবর, এ বার বলা হয়েছে, শীঘ্রই ‘ভার্চুয়াল’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। সে তারিখ জেলা তথা রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, “এক বার শুনেছিলাম, উদ্বোধন হবে। তখন হয়নি। তার পরে, আর কিছু জানানো হয়নি। যে মেডিক্যাল কলেজ চলছে, তার আবার উদ্বোধন হতে পারে নাকি! তবে উনি (মোদী) যা খুশি করে থাকেন। উনি নিজেকে দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ভাবেন।” পক্ষান্তরে, বিজেপির জলপাইগুড়ির সাংসদ তথা চিকিৎসক জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘হাসপাতাল চললেও, কোনও কারণে ১৪ অক্টোবর কলেজের আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান হয়নি। কিছু দিন পরে, অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সে তারিখ দ্রুত জানানো হবে।’’
২০২০-র ৩০ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়িতে মেডিক্যাল কলেজের স্থায়ী ভবনের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে দিনই জলপাইগুড়িতে কলেজের সূচনা বলে ধরে রাজ্য প্রশাসন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মেডিক্যাল কলেজে রোগী দেখা এবং রোগী ভর্তি চালু হয়ে যায়। ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়াও হবে এ বছর।
কেন্দ্রের নির্দেশ, অন্তত আড়াইশো জন বসতে পারে, এমন সভাঘরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে হবে। ডাকতে হবে জেলার আধিকারিক থেকে বিশিষ্ট বাসিন্দাদের। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেব বলেন, “গত ১৪ অক্টোবর ভার্চুয়ালে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে জানানো হয়েছিল। তার পরে, আর কিছু জানানো হয়নি।” সূত্রের খবর, বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে। তবে মন্তব্য করতে চাননি স্বাস্থ্য-কর্তারা। চন্দ্রিমার প্রশ্ন, “হাসপাতাল ভবন থেকে সব কিছু করে দিচ্ছে, পরিচালনা করছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য-শিক্ষা যে হেতু কেন্দ্র এবং রাজ্য— উভয়ের তালিকায় পড়ে, এটা সে সুযোগে কেন্দ্রের দখলদারির চেষ্টা।” বিজেপি সাংসদের মন্তব্য, “কেন্দ্রের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে, রাজ্য সরকার বলে দিক, ‘কেন্দ্রের টাকা নেব না’।”