প্রতীকী ছবি।
শুধু অভিযুক্তরাই নন, তাঁদের নিকটাত্মীয়দের সম্পত্তির উপরেও এ বার নজর ঘোরাচ্ছে ইডি। নারদ তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ইডি যাঁদের ডেকে পাঠিয়েছে, তাঁদের নিজেদের সম্পত্তির বাইরে নিকটাত্মীয়দের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেবও চাওয়া হচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের ৫০ নম্বর ধারায় এই সমন পাঠানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে— প্রাথমিক ভাবে এঁদেরই নিকটাত্মীয় বলা হয়। কিন্তু তার বাইরেও যে আত্মীয়রা রয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁদের সম্পত্তির হিসেবও দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেই তালিকায় শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক-শ্যালিকা, দেওর-ননদ, তাঁদের স্বামী-স্ত্রী, নিজের মাসতুতো, পিসতুতো, খুড়তুতো এবং মামাতো ভাই-বোনেরাও থাকবেন। তদন্তকারীদের মতে, প্রাথমিক ভাবে যিনি অভিযুক্ত, তাঁর বা তাঁর বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের সম্পত্তির হিসেব থেকে যদি ঘুষের টাকার হিসেব পাওয়া যায়, তা হলে সমস্যা হবে না। কিন্তু, হিসেব পাওয়া না গেলে অন্য কোনও নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে সেই টাকা ‘সদ্ব্যবহার’ করা হয়েছে কি না, তা-ও এ বার খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন:বায়ুসেনার নিশানায় ছিলেন মুশারফরা
কিন্তু, আত্মীয়ের সংখ্যা তো বহু। এত জনের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা কি সম্ভব? তদন্তকারীদের দাবি, প্রাথমিক তদন্তেই তাঁরা জানতে পেরে যাবেন কার মাধ্যমে টাকা পাচার হয়েছে। এক অফিসারের কথায়, ‘‘সব আত্মীয়ের সম্পত্তি খতিয়ে দেখার দরকার নেই। হিসেব বহির্ভূত টাকা কোথায় পৌঁছেছে, সেটাই আমরা দেখবো।’’