সাংসদ সৌগত রায়।— ফাইল চিত্র।
তদন্তকারী অফিসারা তখনও ঠিকমতো তৈরি হননি। বুধবার নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগেই নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে হাজির হয়ে গেলেন সাংসদ সৌগত রায়।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নারদ তদন্তে তৃতীয় দফার তলবি নোটিসে বেলা ১১টা সময় আসতে বলা হয়েছিল দমদমের সাংসদ সৌগতবাবুকে। মঙ্গলবার তিনি যাচ্ছেন বলে ফোন করে জানিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম পর্যায়ে নারদ স্টিং অপারেশনের অসম্পাদিত ফুটেজে ম্যাথুর সঙ্গে তাঁর কথোপকথনটি দেখানোর পরে সৌগতবাবু কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন। পরে অবশ্য তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: কাউকে তোষণ করি না, বললেন মমতা
এ দিন সৌগতবাবুকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে সৌগতবাবুর হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলেন ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল। তদন্তকারীদের দাবি, ম্যাথুর কাছ থেকে ওই টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সৌগতবাবু। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনী তহবিলে বহু ব্যবসায়ী অনুদান দিয়ে থাকেন। দক্ষিণ ভারতের একটি নির্মাণ সংস্থার নাম করে ওই টাকা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। ওই টাকার হিসেব তিনি নির্বাচনী খরচের মধ্যে দাখিল করেছেন বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন সাংসদ।
জিজ্ঞাসাবাদের পরে এ দিন সৌগতবাবু বলেন, ‘‘যা নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল সবই আমি দিয়েছি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও দিয়েছি।’’ তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তদন্তকারীরা তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহারই করেছেন। তিনিও তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন।