এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
নারদ মামলায় ফের ডেকে পাঠানো হল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ডেকে পাঠায় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন ওই মন্ত্রীকে। একইসঙ্গে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ দু’জনেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন।
ইডি সূত্রে খবর, নারদ ঘুষ মামলায় শোভন-বৈশাখীকে একসঙ্গে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। ওই মামলায় বৈশাখীর কোনও যোগ নেই। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে তলব করা হল, এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চায়নি ইডি।
গত বছরের শেষ দিকে শোভনকে প্রথম দফায় জেরা করেছিলেন কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। কেন তিনি ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও কারণ উল্লেখ করতে পারেননি শোভন। এমনকি আয়-ব্যয়ের হিসেব নিয়েও তিনি কোনও নথি জমা দেননি বলেই তদন্তকারীদের দাবি। তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, ইডির কাছে শোভন দাবি করেন, ‘‘এ সব আমি জানি না। আমার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় জানেন।’’
এর পরে রত্নাদেবীকেও জেরা করা হয়। একই সঙ্গে জেরা করা হয় শোভনের শ্যালক ও সহযোগী শুভাশিস দাসকেও। সেখান থেকেই প্রথমে বৈশাখীর বিষয়টি সামনে আসে। এ ছাড়া কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও একধিক বার দাবি করেছেন,বৈশাখী তাঁর বিপদের বন্ধু। মামলা সংক্রান্ত সব বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন বৈশাখী। মনে করা হচ্ছে, সে জন্যেই শোভন-বৈশাখীকে একসঙ্গে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ৫ ছবি সিবিআইকে দিলেন প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা
আরও পড়ুন: বাংলায় গণতন্ত্র শেষ, মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে অমিত বললেন রথযাত্রা হবেই
এ দিন ইডি দফতরে ঢোকার মুখে শোভন অবশ্য খোসমেজাজেই ছিলেন। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দফতরে চলে যান। ইডি-র পাশাপাশি সিবিআইও ওই মামলার তদন্ত করছে। কলকাতার নিজাম প্যালেসে শোভনকে জেরার সময়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যেত। এ বার শোভনের সঙ্গে তাঁকেও ইডি-র জেরার মুখোমুখি হতে হল।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)