ফিরহাদ (ববি) হাকিম।
সিবিআই আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার পরই নেটমাধ্যমে বিজেপি-র বিরুদ্ধে সরব হলেন ফিরহাদ (ববি) হাকিম। তাঁর অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সমস্ত কাজকর্ম স্তব্ধ করার পরিকল্পনাতেই দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ককে সোমবার সকালে সিবিআই-কে দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছিল।
সোমবার রাতে ফেসবুকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান লিখেছেন, ‘আজ শুধু আমার এবং আমার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া এবং হেনস্থা করার দিন ছিল না। ছিল, বাংলার আমজতার বিরুদ্ধে বিজেপি-র প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার দিন।’ ফিরহাদের অভিযোগ, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে বিপুল ভাবে জয়ী করার ‘অপরাধে’ই বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের শাসকদলের এই প্রতিহিংসা।
ফিরহাদ আরও লিখেছেন, ‘বাংলার দখল নেওয়ার উদ্দেশ্যেই কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্ত কাজ বন্ধ করেছে বিজেপি। তাদের কাছে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঠেকানোর চেয়েও বাংলার দখল নেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ’। তাঁর দাবি, ২০১৪ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে যে গোপন ক্যামেরা অভিযান চালানো হয়েছিল তাতে কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তিনি লিখেছেন, ‘ভোটের (২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন) আগে আমাদের বিপাকে ফেলার উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হয়েছিল। এখন তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে এটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে’।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে বিজেপি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলেও ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেছেন ফিরহাদ। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘পিএম কেয়ার্স ফান্ড’ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই যে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আসে না, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘তাই আমরা জানি না দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের সাহায্য পেয়েছে কি না।
সোমবার সকালে ফিরহাদের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সোমবার দিনভর শুনানির পর, ধৃত ৪ জনেরই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে ফিরহাদদের জামিন দেওয়া হয়।