লালবাগে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত। —নিজস্ব চিত্র।
রানাঘাটে নদীর বুকে ভাটিয়ালি
“আষাঢ় মাসে ভাসা পানি
পুবালি বাতাসে,
বাদাম দেইখ্যা চাইয়া থাকি,
আমার নি... কেউ আসে।”
দরদি গলায় গান গাইছেন শিল্পী। তন্ময় হয়ে শুনছেন কয়েক হাজার শ্রোতা। প্রাণের গভীর চেতনা থেকে উৎসারিত সুরে-কথায় শ্রোতারা তখন আবিষ্ট। মোহাচ্ছন্ন।
গত রবি ও সোমবার রানাঘাটের বড়বাজার ঘাটে চূর্ণি নদীর বুকে এক ভাটিয়ালি গানের আসরের আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকারের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগ। নদীর বুকে মাঝিমাল্লাদের গান—ভাটিয়ালি শোনার এমন বিরল সুযোগ হাতছাড়া করেননি স্থানীয়রা। দু’দিনই উপচে পড়া ভিড়। আর শ্রোতাদের ওই উন্মাদনাকে সার্থক করে তোলে মনসুর ফকির, লিপিকা দাস, শিখা অধিকারী, স্বপন কুণ্ডু, নবকুমার মণ্ডল, আরতি বিশ্বাস, পান্নালাল বিশ্বাস-সহ অন্যান্য শিল্পীদের গাওয়া ভাটিয়ালি গান।
কৃতীদের সংবর্ধনা
রানাঘাট
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দিল রানাঘাটের ‘আন্তরিক’। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় নজরুল মঞ্চে সংবর্ধনার পাশাপাশি এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষক মৃন্ময় দে-র লেখা নাটক ‘ঝরা পাতা’ দর্শকদের নজর কাড়ে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি রমাপ্রসাদ রায়, রানাঘাটের এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু, ভারতী হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুমন বিশ্বাস সহ অন্যেরা উপস্থিত ছিলেন। ইন্দ্রজিৎবাবু নিজেও এ দিন বাঁশি বাজিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।
পুরস্কার বিতরণ
‘সিটি মুর্শিদাবাদ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি’র উদ্যেগে অনুষ্ঠিত ‘শারদ সম্মান— ২০১৪’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও ‘শারদ সম্মান— ২০১৫’র ঘোষণা হল রবিবার বিকালে। লালবাগের পাঁচরাহা বাজার সমিতির প্রাঙ্গণে ওই অনুষ্ঠানে প্রতিমা, আলোকসজ্জা, মণ্ডপসজ্জা ও পরিবেশ, অভিনব প্রয়াস, প্রতিমা শিল্পী মিলে মোট ৫টি বিভাগে মোট ১৮টি পুরস্কার দেওয়া হয়।