রাজনাথকে নিয়ে উড়ে যাচ্ছে কপ্টার। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
মুর্শিদাবাদের শষ্য গোলা বলে পরিচিত কান্দি মহকুমার বড়ঞায় ভোট প্রচারে এসে কৃষকদের মন জয়ের চেষ্টা করলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ।
মহকুমার মধ্যে বড়ঞা ব্লকের ধান ও আলু চাষের জন্য সুখ্যাতি আছে। ওই ব্লকের সিংহভাগ মানুষই পেশাগত ভাবে কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। বড়ঞার তিন ফসলি জমিতে বছর একবার আলু ও দু’বার ধান চাষ হয়। শীতকালীন সব্জিরও চাষ হয় মহকুমা জুড়ে। অথচ এলাকার সেচ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হয়নি। জলসম্পদ দফতর সূত্রের খবর, মহকুমায় সেচের জন্য কান্দি, বড়ঞা, খড়গ্রাম, ভরতপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে ৪৭টি সেচ পাম্প আছে। একটি পাম্পের মাধ্যমে ৪০ হেক্টর জমিতে সেচ করা যায়। ওই ৪৭টি পাম্প দু’হাজার হেক্টর জমিতে সেচের ব্যবস্থা করতে পারে। বড়ঞা ব্লকেই প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। অতএব এলাকায় সেচের সমস্যার বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। স্থানীয় কন্যানপুর ১ পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বাসুদেব মন্ডল বলেন, “এ বার ক্যানেলে জল না দেওয়ায় অনেকেই বোরো চাষে সেচ দিতে পারেননি।”
শুক্রবার ভর দুপুরে এখানে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে স্বাভাবিক ভাবেই কৃষকদের মন টানার চেষ্টা করলেন রাজনাথ। এ দিন দুপুর সোয়া একটা নাগাদ বড়ঞার পাঁচথুপির বারকোনা ময়দানে হেলিকপ্টারে করে হাজির হন বিজেপি-র এই সর্বভারতীয় হেভিওয়েট নেতা। মিনিট তেইশের বক্তৃতার প্রায় প্রতি ছত্রে তিনি দেশ জুড়ে কৃষক ও কৃষির দুরবস্থার কথা উল্লেখ করেন। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী দেবেশ অধিকারীর সমর্থনে ভোট চাইতে রাজনাথ বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই এই বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেস ও তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। অথচ কোনও সরকারই কৃষির উন্নতির দিকে পর্যাপ্ত নজর দেয়নি। রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। বিজেপিই পারে এ রাজ্যকে উন্নতির দিকে টেনে তুলতে।” রাজনাথের নির্বাচনী বাণী শুনে দৃশ্যতই খুশি কৃষিপ্রধান বড়ঞার মানুষ। বাপি দাস ও খোকন শেখের মতো স্থানীয় চাষিরা দৃশ্যতই উৎফুল্ল।