ইফতার পার্টিতে অধীর চৌধুরী।
আয়োজনে ও জৌলুসে সম্ভবত অন্যদের টেক্কা দিল মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস আয়োজিত রবিবারের ইফতার মজলিস। জেলা কংগ্রেসের নামে আয়োজিত হলেও লোকমুখে এটি ‘অধীরদার ইফতার পার্টি’ বলেই পরিচিত। ‘অধীরদা’, অর্থাৎ রেলের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি অধীর চৌধুরী।
নাম যেমন ভারী, আয়োজনও তেমন। এক সঙ্গে হাজার দেড়েক লোকের ইফতারের জন্য বহরমপুর শহরে দলের জেলা কার্যালয়ের পিছনের মাঠ জুড়ে ম্যারাপ বাঁধা হয়েছে। মাথার উপর খাটানো হয়েছে সামিয়ানা। সেখানে বসেই কাজু-কিশমিশ, খেজুর-জিলিপি, মুড়ি-বেগুনি, আপেল-শসা, আদা-ঘুঘনি দিয়ে সাজানো ইফতারে রোজার উপবাস ভাঙেন হাজার-বারশো রোজদার। তারপর এক সঙ্গে হাজার জনতার নমাজ পাঠ। সবশেষে পোলাও-মাংস।
এ দিনের ইফতারের মজলিসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, দলের জেলা মুখপাত্র অশোক দাস ছাড়াও ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার, বহরমপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী-সহ দলের ১০ জন বিধায়ক, নীলরতন আঢ্য-সহ মোট চার জন পুরপ্রধান, ১২টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের ৪১ জন সদস্য, দলীয় ৩৪টি ব্লকের সভাপতি এবং ৯টি শাখা সংগঠনের প্রধান-সহ বহু বিশিষ্টজন। এলাহি আয়োজন তদারকির দায়িত্বে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শিলাদিত্যবাবু।
এ দিন লালগোলা পুলিশের আয়োজনে থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় সর্বদলীয় ইফতার মজলিস। গত বৃহস্পতিবার গোরাবাজার আইসিআই মোড়ের অনুষ্ঠান বাড়িতে ২৫০ জনের ইফতারের আয়োজন করেছিল ‘ক্ষুদিরাম পাঠাগার’।
এ বছরের মতো ইফতার সংক্রান্ত সর্বজনীন সমাবেশের কর্মসূচি সুচারু ভাবেই শেষ হল। আজ সন্ধ্যার আকাশে ঈদের চাঁদ দেখার অপেক্ষায় উদগ্রীব আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। রাত পোহালে উৎসব। খুশির ঈদ! ইদ-উল-ফিতর!