রাস্তায় মৃত্যু বৃদ্ধের নির্বিকার কৃষ্ণনগর

জনবহুল বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। তাঁর নাম রঞ্জিত বিশ্বাস (৭৯)। রবিবার বিকেলে কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চাষাপাড়ায় বুড়িমা জগদ্ধাত্রী বারোয়ারির অশ্বত্থ গাছ তলায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃ্দ্ধের বাড়ি ওই এলাকাতেই। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে অনুমান শ্বাসকষ্ট জনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের পাশে পড়েছিল একটি ছাতা এবং শালপাতায় মোড়া খিচুড়ি। রঞ্জিতবাবুর হাতে ধরা ছিল একটি ‘ইনহেলার’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৫০
Share:

জনবহুল বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। তাঁর নাম রঞ্জিত বিশ্বাস (৭৯)। রবিবার বিকেলে কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চাষাপাড়ায় বুড়িমা জগদ্ধাত্রী বারোয়ারির অশ্বত্থ গাছ তলায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃ্দ্ধের বাড়ি ওই এলাকাতেই। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে অনুমান শ্বাসকষ্ট জনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের পাশে পড়েছিল একটি ছাতা এবং শালপাতায় মোড়া খিচুড়ি। রঞ্জিতবাবুর হাতে ধরা ছিল একটি ‘ইনহেলার’।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছইলেন রঞ্জিতবাবু। সে কারণে তাঁর ব্যাগে সব সময় রাখা থাকত ‘ইনহেলার’। এ দিন সম্ভবত শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েই গাছ তলায় বসে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইনহেলার বার করেও তা ব্যবহার করতে পারেননি। রঞ্জিতবাবুর মেয়ে কৃষ্ণা বিশ্বাস বলেন, “বাবা মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ভোগ নিয়ে ফিরছিলেন। শ্বাসকষ্ট ছিলই, কিন্তু এমন হতে পারে তা ভাবতেই পারিনি।”

রঞ্জিতবাবুর মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠছে তবে কী শহুরে হাওয়া লাগছে মফস্বলেও? চাষাপাড়ার মতো জনবহুল বাজার এলাকায় একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেউ দেখলেন না! নাকি অনাত্মীয়ের অসুস্থতা তেমন করে নাড়া দিতে পারেনি!

Advertisement

এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর গৌতম ঘোষ অবশ্য বলেন, “এলাকার লোক প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি। ভেবেছিলেন গাছতলায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর সন্দেহ হয়। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement