মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে জনসমুদ্রে ভাসলেন জলুবাবু

হওয়ার কথা ছিল শোভাযাত্রা। তা চেহারা নিল কার্যত জনসমুদ্রের। তাতেই ভাসতে-ভাসতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ‘জলুবাবু’। অর্থাৎ, নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। বিশাল সেই শোভাযাত্রায় ভিড়ে উপচে পড়লেও হলফনামা ‘অসম্পূর্ণ’ থাকায় কাজ শেষ হল না পুরোপুরি। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে শীঘ্রই নতুন করে হলফনামা জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা।

Advertisement

মনিরুল শেখ ও সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪০
Share:

মনোনয়ন পেশ করছেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় (বাঁ দিকে)। পাশে রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুপ্রভাত বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

হওয়ার কথা ছিল শোভাযাত্রা। তা চেহারা নিল কার্যত জনসমুদ্রের। তাতেই ভাসতে-ভাসতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ‘জলুবাবু’। অর্থাৎ, নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়। বিশাল সেই শোভাযাত্রায় ভিড়ে উপচে পড়লেও হলফনামা ‘অসম্পূর্ণ’ থাকায় কাজ শেষ হল না পুরোপুরি। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে শীঘ্রই নতুন করে হলফনামা জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা।

Advertisement

লোকসভা ভোটের সময় কৃষ্ণনগর শহরের সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি সংলগ্ন একটি বাড়ির দোতলার পাঁচটি ঘর ভাড়া নেবেনই জলুবাবু। এ বারও সেই বাড়িতেই নির্বাচনী কার্যালয় তাঁর। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ওই বাড়ি থেকেই কৃষ্ণনগর শহর পরিক্রমার প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মিছিলে যোগ দিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় নির্বাচনী কার্যালয়ের ছোট ঘরটিতে। কর্মী-সমর্থকদের দলীয় প্রতীক আঁকা টুপি ও ঝান্ডা সরবরাহ করতে হাঁফ ধরে যায় জেলা বিজেপি-র মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদারের। সাড়ে ১১টা নাগাদ নীচে নেমে হুড খোলা জিপে উঠে পড়েন জলুবাবু। মাথায় পেল্লায় ছাতা। বনেটে পদ্ম ফুল।

শহরের অন্যতম ব্যস্ত মোড় হাই স্ট্রিট থেকে হুড খোলা জিপটি কোতোয়ালি থানার সামনে আসতেই মিছিলে ঠেলাঠেলি বেড়ে যায়। অত্যুৎসাহী কর্মী-সমর্থক ও পথচলতি মানুষজনের জলুবাবুর কাছে পৌঁছনোর বাড়াবাড়ি রকমের আবদারে মাঝে এক বার জিপের চাকাও গেল থেমে। মিনিট খানেক পরে ভিড় ঠেলে জিপের মোটা চাকা গড়াল কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যমণ্ডিত রাজবাড়ির দিকে। এরই মধ্যে মিছিল আড়েবহরে বাড়তে শুরু করেছে। রাজবাড়ির কাছে মিছিল পৌঁছল সাড়ে ১২টা নাগাদ। কড়া রোদেও কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাটা নেই। অশীতিপর জলুবাবুর মুখের হাসিও অমলিন। রাজবাড়ি থেকে স্টেশন সংলগ্ন ক্ষৌণীশ পার্ক হয়ে বৌবাজার, সদর হাসপাতাল, কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয় পেরিয়ে মিছিল জেলাশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছল বেলা দু’টো নাগাদ। জনসমুদ্র পিছনে ফেলে জনাকয়েক বিশ্বস্ত সহচর নিয়ে জলুবাবু ঢুকে পড়েন ভিতরে।

Advertisement

তার কিছু আগেই জেলাশাসকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুপ্রভাত বিশ্বাস। কৃষ্ণনগরের দলীয় প্রার্থী রাজিয়া আহমেদ ও রানাঘাটের প্রতাপকান্তি রায়কে নিয়ে বড় মিছিল করে ডিএম অফিসে পৌঁছে যান নদিয়ার কংগ্রেস নেতা শঙ্কর সিংহ। অতিরিক্ত জেলাশাসক উৎপল ভদ্রের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন রানাঘাটের বিজেপি ও কংগ্রেস প্রাথী। জেলাশাসক পি বি সালিমের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান কৃষ্ণনগরের দুই প্রার্থী।

জলুবাবুকে ভিতরে বসে থাকতে দেখে সৌজন্যের হাত জোড় করেন রাজিয়া। জলুবাবুও স্মিত হেসে হাত তোলেন। প্রায় ৫টা পর্যন্ত জলুবাবুর কাগজপত্রের কাজ চলে। দিনের শেষে ‘তৃপ্ত’ জলুবাবু বলেন, “যেখানে যাচ্ছি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলছে। জয় নিয়ে আমি নিশ্চিত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement