মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে কংগ্রেস প্রার্থী। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক দিন। এ বার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা শুরু হল।
বহরমপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনে সোমবার চার জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। এঁরা হলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মান্নান হোসেন, এই কেন্দ্রের এসইউসি প্রার্থী কামরুজ্জামান খোন্দেকর, জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সম্রাট ঘোষ এবং ওই কেন্দ্রের এসইউসি প্রার্থী আবদুর সাইদ।
মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি ও এসইউসি প্রার্থী। —নিজস্ব চিত্র।
ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ১১টা। ভাগীরথীর পশ্চিম পাড় লাগোয়া রাধারঘাট এলাকা থেকে খাগড়াঘাট স্টেশন লাগোয়া বাড়ি থেকে সদলবলে রওনা দিয়ে বহরমপুরের দলীয় কার্যালয়ে এসে পৌঁছন কংগ্রেসের প্রার্থী মান্নান হোসেন। দলীয় কার্যালয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনের উদ্দেশে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি কংগ্রেসের শিলাদিত্য হালদার, রানিনগর ও মুর্শিদাবাদের দলীয় বিধায়ক ফিরোজা বেগম ও শাওনী সিংহ রায়। ছিলেন মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান শম্ভূনাথ ঘোষ ও কাউন্সিলর সৌমেন দাস। ওই মিছিল অবশ্য জেলা প্রশাসনিক গেটে আটকে দেওয়া হয়। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা থাকায় প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় কংগ্রেসের ওই প্রার্থী পাঁচ জনের বেশি সঙ্গী নিয়ে যেতে পারেননি।
মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার আগে মান্নান হোসেন বলেন, “এ বার সব রেকর্ড ভেঙে যাবে। আমি দীর্ঘ দিন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি যা বুঝছি, এবার সব হিসেব উল্টে যাবে।” আগাম ভোট-সমীক্ষা যাই বলুক না কেন, কংগ্রেসের অবস্থা খারাপ মানতে রাজি নন তিনি। তাঁর কথায়, “কংগ্রেসের অবস্থা খারাপ আমি মানতে রাজি নয়। এ সব গণমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা। আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষের অন্তঃকলহ প্রকাশ্যে আসছে। যত দিন যাবে কংগ্রেসের অবস্থা ভাল হবে।” মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের রাজনীতিতে দুই মেরুর বলে পরিচিত মান্নান হোসেনের মুখে এদিন অধীর চৌধুরীর প্রশংসাও শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, “অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরে মানুষ যেমন দলে ফিরছে, তেমনই রাজ্যে তৃণমূলের প্রতি মানুষের মোহভঙ্গ ঘটেছে। তৃণমূল নেত্রী রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য কিছু করেননি। এমনকী ডাবল লাইনের কাজও পলাশি প্রান্তরে এসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। অধীর চৌধুরী রেলমন্ত্রী হওয়ার পরে কৃষ্ণনগর থেকে চাপড়া-করিমপুর হয়ে জলঙ্গি-ডোমকল-দৌলতাবাদ হয়ে বহরমপুর পর্যন্ত রেল লাইনের কথা ঘোষণা করেছেন। গত বাজেটে ভোট অন অ্যাকাউন্টে ঘোষণা করার পাশাপাশি তার জন্য অর্থবরাদ্দও করেছেন।”