পঞ্চায়েত সমিতি ভাগ করার দাবি

বিপুল আয়তনের জন্য অসুবিধা হচ্ছে প্রশাসনিক কাজে। প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও মানুষকে আসতে হচ্ছে ব্লক সদরে পঞ্চায়েত সমিতির দফতরে। অসুবিধা দূর করতে এ বার বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতিকে ভেঙে দু’ভাগ করার দাবি উঠল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৪ ০০:৪০
Share:

বিপুল আয়তনের জন্য অসুবিধা হচ্ছে প্রশাসনিক কাজে। প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও মানুষকে আসতে হচ্ছে ব্লক সদরে পঞ্চায়েত সমিতির দফতরে। অসুবিধা দূর করতে এ বার বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতিকে ভেঙে দু’ভাগ করার দাবি উঠল। কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর প্রস্তাব প্রাথমিক ভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুে খাপাধ্যায়। রাজ্যের বেশ কিছু পুরসভা মিশিয়ে দিয়ে নতুন কয়েকটি পুর-নিগম গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। একই ভাবে প্রশাসনিক কাজে সুবিধার যুক্তিতে বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতিকে ১ ও ২-এ ভাগ করার কথা ভাবা হচ্ছে।

Advertisement

বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির মোট আয়তন এখন ২০১ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে ১৪৬টি মৌজা। মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রেরই কিছু না কিছু অংশ ওই পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার মধ্যে পড়ে! মোট সাড়ে চার লক্ষ মানুষ ওই সমিতির আওতাধীন। সমিতির মধ্যে পড়ছে ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। তার মধ্যে পূর্ব দিকে রয়েছে ১১টি অঞ্চল ছয়ঘড়ি, মদনপুর, দৌলতাবাদ, গুরুদাসপুর, মণীন্দ্রনগর, ভাকুড়ি ১ ও ২, হাতিনগর, রাজধরপাড়া, নওদাপানুর ও হরিদাসমাটি। পশ্চিম দিকে অঞ্চল আরও ৬টি নিমাল্লিশপাড়া, সাটুই চৌড়িগাছা, রাধারঘাট ১ ও ২, রাঙামাটি-চাঁদপাড়া ও উদয়চাঁদপুর। মাঝে ভাগীরথী নদী! এবং এরই মাঝে আবার বহরমপুর

পুরসভা এলাকা!

Advertisement

এই বিপুল এলাকা নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির কাজ করতে অসুবিধার কথা বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তুলেছিলেন বহরমপুরের বিধায়ক মনোজবাবু। তাঁর বক্তব্য, “এত বড় এলাকায় সব স্তরের মানুষেরই নানা রকম অসুবিধা হচ্ছে। দু’টো পঞ্চায়েত সমিতি হওয়াই এখানে উপযুক্ত।” পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রতবাবুর সঙ্গেও দফায় দফায় কথা বলেছেন বিধায়ক। মন্ত্রী প্রাথমিক ভাবে এই অসুবিধা দূর করার যুক্তির সঙ্গে একমত। তিনি দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement