তৃণমূলের পতাকা পোড়ানোর অভিযোগে বিজেপির দুই যুবনেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার বিকেলে তাঁদেরকে নবদ্বীপ থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁদের নবদ্বীপের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতিমান মণ্ডল তাঁদের জামিনের নির্দেশ দেন। যদিও বিজেপির দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপির ওই দুই যুবনেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নবদ্বীপের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের কিছু দলীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। সোমবার ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় বিক্রম আদিত্য এবং সুমিত দে নামে ওই দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তৃণমূল। বিক্রমবাবু বিজেপির ১২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সুমিতবাবু ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি যুবমোর্চার সম্পাদক। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৫ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে।
এ দিকে, নবদ্বীপে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ওই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন নবদ্বীপ যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুকুমার রাজবংশী। তিনি বলেন, “এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক নানা ভাবে প্ররোচনা দিচ্ছেন। নবদ্বীপের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ২৩ জানুয়ারি দলীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছিল। পর দিন রাতে ওই সব পতাকা খুলে বিজেপি সমর্থকরা এক জায়গায় জড়ো করে পোড়ান। আমরা তাঁদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।”
অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য পুলিশের কাছে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। বিজেপির নদিয়া জেলার সহ-সভাপতি জীবন সেন বলেন, “অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমাদের দলীয় কর্মীরা এমন কুশিক্ষা পাননি যে অন্য দলের পতাকা পোড়াবেন। তৃণমূলের কর্মীরাই বরং একাধিক বার নবদ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির পতাকা পুড়িয়েছেন। এ সব কাজে ওঁরা পটু।” তাঁর দাবি, “গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে দলের পতাকা পুড়িয়ে এখন বিজেপির নামে মিথ্যে অভিযোগ করে মুখ রক্ষা করতে চাইছে তৃণমূল।”
মঙ্গলবার বিকেলে ওই ঘটনার প্রতিবাদে নবদ্বীপে বিজেপি কর্মীরা এক বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন।