Magha Purnima

মাঘী পূর্ণিমা নিয়ে কপালে ভাঁজ পুরসভার

জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় হয় তাঁদের থাকা-খাওয়ার পিছনে। ৫০টি অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়।

Advertisement

প্রদীপ ভট্টাচার্য

আজিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৩
Share:

মাঘী পূর্ণিমার পূণ্যস্নান। — ফাইল চিত্র।

আগামী রবিবার মাঘী পূর্ণিমার পুণ্য স্নান। তার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ আজিমগঞ্জ শহরে ভিড় করে আসছেন কয়েক শতক ধরে। তাঁরা গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে স্নান করে তাঁদের আরাধ্য দেবতাকে পুজো করেন নদী পাড়ে। বিহার, ঝাড়খণ্ডের একাংশ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষের সমাগম হয় দু’দিন ধরে। সেখানে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার তরফ থেকে তাঁদের থাকার জন্য যেমন অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি কারা হয় তেমন দু’বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় পুর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। নির্মাণ করা হয় অস্থায়ী শৌচালয়। কোনও ধরনের শারীরিক অসুস্থতার জন্য সেখানে রাখা হয় চিকিৎসক ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। নির্মাণ করা হয় বেশ কিছু গভীর নলকূপ। প্রতি বছর এই বিশাল পরিমাণ ব্যয়ভার পুরসভার পক্ষে কার্যত কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানালেন পুরপ্রধান।

Advertisement

জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় হয় তাঁদের থাকা-খাওয়ার পিছনে। ৫০টি অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়। ১৫-২০ কুইন্টাল ময়দার খাবার তৈরি হয় প্রতিদিন। সিংহভাগ খরচটাই করে পুরসভা। কিছু স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী সহযোগিতা করলেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে কার্যত এই ব্যয়ভার বহন করা পুরসভার কাছে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আর্থিক সাহায্যের জন্য জেলাশাসকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।”

এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক রাজর্ষি মাত্র বলেন, “এই মুহূর্তে জেলাস্তর থেকে কোনও রকম আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও সেখানে যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ‘বিপর্যয় মোকাবিলা’র সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement