কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র।—ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে জেতার পরে তিনি নিজের এলাকায় থাকছেন না বলে অভিযোগ উঠেছিল। কৃষ্ণনগরের সাংসদ সেই মহুয়া মৈত্র এখন বেশ কিছু দিন যাবৎ নদিয়ায় রয়েছেন, কিন্তু এখনও তাঁর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে একাংশের ক্ষোভ কমেনি বলে অভিযোগ।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এ বার অভিযোগ অন্য। মহুয়া সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও। অথচ, সেই তিনি এলাকায় থাকা সত্ত্বেও দলের স্থানীয় কর্মী ও নেতাদের সময় দিচ্ছেন না, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না। শুধু সমন্বয় শিবিরের মতো কিছু সরকারি কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
দলেরই অনেকে জানাচ্ছেন, যেমন সাংসদের কিছু দায়িত্ব থাকে তেমনই এই মূহূর্তে সভাপতির কাজ হল, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করা। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ যেমন বলছেন, “আশা করছি মহুয়া এ বার দলীয় কর্মসূচি নেবেন। কারণ, এনআরসি নিয়ে মানুষ প্রচণ্ড আতঙ্কে আছেন।” গত ১৯ সেপ্টেম্বর মহুয়া করিমপুর গিয়েছিলেন। দু’দিন ছিলেন। কিন্তু এই দু’দিন সে ভাবে দলীয় কোনও কর্মসূচি তাঁর ছিল না বা কর্মীদের সঙ্গে তাঁকে বৈঠক করতে দেখা যায়নি।
করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগরে ফেরার পথে পলাশিপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে ঘন্টাখানের সময় কাটিয়েছেন। এই পর্যন্তই। কালীগঞ্জ, চাপড়া, তেহট্ট কোনও বিধানসভা এলাকাতেই তাঁকে সম্প্রতি দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছে জেলায় দলের একটা বড় অংশ। পলাশিপাড়ার বিধায়ক তাপস সাহা বলছেন, “আমরা এনআরসি নিয়ে মানুষকে আতঙ্কমুক্ত করার কর্মসূচি নিচ্ছি। আশা করছি মহুয়াদেবীও এ বার দলীয় সর্মসূচিতে অংশ নেবেন।” মহুয়া দেবীর সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা যায়নি।