ফাঁকা প্রশাসনিক ভবন। বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
মহার্ঘ ভাতা, শূন্যপদে নিয়োগ-সহ একাধিক দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে মিশ্র প্রভাব পড়ল মুর্শিদাবাদে।
সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন কর্মবিরতির জেরে অফিস-আদালতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অনেককে। কাজ না হওয়ায় তাঁদের খালি হাতে ফিরতে হয় বলে অভিযোগ। এ দিন একাধিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতির জেরে ঠিকমতো পঠনপাঠন হয়নি বলে অভিযোগ। বহরমপুরে জেলা প্রশাসনিক ভবনে সরকারি কর্মীরা উপস্থিত হলেও অনেকেই কাজের জায়গায় না থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। একই অবস্থা ছিল বহরমপুরে জেলা আদালতে। সেখানে বর্তমানে প্রায় ৪০০ জন কর্মী কাজ করেন। তাঁরা আদালতে উপস্থিত হলেও অধিকাংশই কাজে যোগ দেননি। আদালতে কোনও কাজ হয়নি বললেই চলে। ফলে বিচারপ্রার্থীদের হয়রান হতে হয় বলে অভিযোগ। ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্যের কার্যকরী সম্পাদক বিনয় হালদার বলেন, ‘‘জেলা আদালতের কর্মীরা কেউ কাজে যোগ দেননি। অধিকাংশ আদালতে কাজ হয়নি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘শূন্যপদে নিয়োগ এবং ডিএর দাবিতে আমাদের কর্মবিরতি সফল হয়েছে।’’ বহরমপুর উকিলসভার সভাপতি আবু বাক্কার সিদ্দিকি বলেন, ‘‘ ওঁরা কাজ না করায় এ দিন আমরাও আদালতে কাজ করতে পারিনি।’’ শিক্ষকদের সংগঠন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক গৌতম বন্দোপাধ্যায় বলেন, এ দিনের কর্মবিরতিতে ভাল সাড়া মিলেছে। গ্রামের দিকে কর্মবিরতির প্রভাব বেশি ছিল।’’ জেলার বিভিন্ন ব্লকের ব্লক তথ্য আধিকারিক ও ব্লকের উপ সচিবদের বহরমপুরে জেলা পঞ্চায়েত ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের দিন ছিল। জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে ব্লক তথ্য আধিকারিক ও ব্লকের উপ সচিবরা এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা প্রশিক্ষণ না নিয়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন। যদিও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘এ দিন একশো শতাংশ হাজিরা ছিল। অফিসে কাজকর্মও স্বাভাবিক হয়েছে।’’