প্রতীকী চিত্র।
সারা বছর কাটে যাত্রী নিয়ে খেয়া পারাপার করে। কত উৎসব-অনুষ্ঠান আসে-যায়। আমাদের কাজে ছেদ পড়ে না। উৎসব পালন আমাদের জীবনে সে ভাবে নেই। পুজোর আলাদা আনন্দ বলেও তেমন কিছু কোনও দিন অনুভব করিনি।তবে হ্যাঁ। দুগ্গাপুজোয় বাড়ির লোকেদের নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে পারলে একটু শান্তি মেলে। কিন্তু এ বছর সেই শান্তিও মিলছে না। করোনার জেরে হওয়া লকডাউন আমাদের শেষ করে দিয়েছে। বহু দিন খেয়া পারাপার বন্ধ ছিল। টাকাপয়সা চোখে দেখতে পাচ্ছি না। পুজোর আর ক’টা দিন বাকি, এখনও পর্যন্ত বাড়ির কোনও সদস্যের জন্যই নতুন জামাকাপড় কিনতে পারিনি। লকডাউনে চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে পরতে হয়েছিল আমাদের। ধার করে কয়েক মাস সংসার চলেছে। এখন আবার খেয়া পারাপার করিয়ে দিনে শ’ তিনেক টাকা মিলছে। কিন্তু এত মাসের লোকসান সামলাতে পারছি না। গত ৩৫ বছরের মধ্যে এই কাজে কখনও এমন দিন দেখতে হয়নি।
পুজোর দিনগুলো প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরেও যাত্রী পারাপার করিয়ে কাটাতে হবে। ঘুরতে যাওয়া বা পরিবারকে নিয়ে ঠাকুর দেখা হবে না। এ বছর যা অর্থাভাব তাতে বেড়ানো বা আনন্দ করার প্রশ্নও নেই আমাদের মতো মানুষের। তবে ঈশ্বরের উপর আস্থা রাখছি যে, আবার সুদিন আসবে। আগামী বছর রোগ, মহামারি থাকবে না। আয় ভাল হবে। বাড়ির সবাইকে আবার নতুন পোশাক কিনে দিতে পারব। আনন্দ ফিরবে জীবনে।
অনুলিখন: সাগর হালদার