থানার সামনে স্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
যে আইনজীবীর অধীনে কেরানির চাকরি করেন স্বামী, তাঁর সঙ্গে প্রেমে করছেন। এখন দু’জনে মিলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। এমনই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে থানা এলাকায়।
স্ত্রী সুজাতা মুখোপাধ্যায়ের দাবি, শান্তিপুর বল্লবী আচার্য পাড়ার বাসিন্দা তাঁর স্বামী সন্তু মুখোপাধ্যায় কাজ করেন তনয়া বিশ্বাস এক নামে আইনজীবীর অধীনে। হালে তাঁর সঙ্গেই তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছেন। স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সংসারে নিতে অশান্তি হয়। প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করেন স্বামী। এমনকি স্বামীর আইনজীবী প্রেমিকাও তাঁকে ফোন করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ সুজাতার। তাঁর অভিযোগ, দিনের পর দিন গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন তিনি। এই অভিযোগে শনিবার শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই বধূর আরও অভিযোগ, আগেও এ নিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু তার পর তাঁকে আইনের জালে ফাঁসানোর হুমকি দিতে থাকেন স্বামী ও তাঁর আইনজীবী প্রেমিকা।
শনিবার থানায় অভিযোগ জানাতে এসে তিনি জানান আগের রাতে স্বামী এবং স্বামীর এক বন্ধু তাঁর ওপর চড়াও হন। ফের মারধর করেছেন। শান্তিপুর থানায় এসে স্বামী সন্তু এবং তনয়ার নামে লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা বধূ। তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে তানিয়ার সঙ্গে আমার স্বামীর সম্পর্ক। আমার ১৫ বছরের একটি ছেলে আছে। তার কোনও দায়িত্ব নেয় না। আমাকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এখন প্রাণ সংশয়ে রয়েছেন তিনি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে স্বামীর দাবি, ‘‘স্ত্রী মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।’’ ওই মহিলা আইনজীবী বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানি না। যা বলার সন্তুবাবু এবং ওঁর স্ত্রী বলবেন।’’ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে উভয়পক্ষের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।