tmc leader

পঞ্চায়েত নিয়ে নেতার মন্তব্যে বিতর্ক

সভাপতি পদে নিয়োগের পরপরই সাগরদিঘিতে হারের জন্য পঞ্চায়েতের একাংশকে দায়ী করেছিলেন তৃণমূল নেতা সামশুল হোদা।

Advertisement

বিমান হাজরা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ০৭:৫৫
Share:

তৃণমূল নেতার কথায় বিতর্ক সাগরদিঘি। প্রতীকী চিত্র।

দল সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তৃণমূল নেতা বেরাজুল ইসলাম। তাঁর দাবি, ‘‘পঞ্চায়েতে দলের ৯০ শতাংশ সদস্যই দুর্নীতিগ্রস্ত। সব জেনেও দল তাঁদের টিকিট দিয়েছে।’’ যদিও তাঁর মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের জঙ্গিপুরের সভাপতি খলিলুর রহমানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্তদের পঞ্চায়েতের টিকিট পাওয়া উচিত নয়।’’

Advertisement

সভাপতি পদে নিয়োগের পরপরই সাগরদিঘিতে হারের জন্য পঞ্চায়েতের একাংশকে দায়ী করেছিলেন তৃণমূল নেতা সামশুল হোদা। তিনি এ-ও ইঙ্গিত দেন, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকজনেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। সেই প্রসঙ্গেই রবিবার বেরাজুল ওইমন্তব্য করেন।

বেরাজুল বলেন, “নয়া ব্লক সভাপতি সামশুল হোদা বলেছেন পঞ্চায়েতে কিছু লোক চোর। এ কথা পুরোটা ঠিক নয়। পঞ্চায়েতের ৯০ শতাংশ লোকই চোর। বাড়ির জন্য অবাধে কমিশনের টাকা নিয়েছেন। তিনি কত ঝাড়াই-বাছাই করবেন। ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। এত চুরি হয়েছে যে টিভি খুলতে পারি না।’’ সামশুল যদিও বলেন, “৯০ শতাংশ লোক চোর, এই অভিযোগ ঠিক নয়। তবে কিছু দুর্নীতি তো হয়েছেই। আমি দলকে বলেছি, দলের ও পঞ্চায়েতের খোল-নলচে বদলাতে হবে। নেতারা কড়া হলে দুর্নীতি প্রশ্রয় পেতে পারে না। বেরাজুল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তখন কেন তিনি রুখে দাঁড়াননি। আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলব।”

Advertisement

সাগরদিঘিতে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পর থেকেই কর্মী ও নেতাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। গত পাঁচ বছর ধরে বেরাজুল সভাপতি সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির। দলের অন্দরের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাগরদিঘিতে এ বার কড়া পদক্ষেপের পথেই হাঁটবে তৃণমূল। বহু বর্তমান সদস্য ও প্রধানকে এ বার তারা মনোনয়ন দেবে না। যাদের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র অভিযোগ রয়েছে দল তাদের নাম তালিকায় কোনও ভাবেই রাখা হবে না বলে দাবি নেতৃত্বের একাংশের। শুধু তাই নয়, বর্তমান সদস্যদের পরিবারের মহিলা সদস্যদেরও নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার যে পদ্ধতি এতদিন চলে এসেছে, সে পদ্ধতিও পাল্টানো হচ্ছে এ বার। তবে সাগরদিঘির নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা তৃণমূলকে ভোট দেননি, তার ফলেই হার, এ কথা মানতে রাজি নন সামশুল। তাঁর মতে, হারের জন্য দায়ী সংগঠনের দুর্বলতা ও পঞ্চায়েতের দুর্নীতি। হোদা’র সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই এ দিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বেরাজুল। পঞ্চায়েতে দলীয় নেতাদের একাংশ যে দুর্নীতিগ্রস্ত, সে কথা অস্বীকার করছেন না সভাপতি খলিলুর রহমান। তাঁর কথায়, ‘‘কোনওমতেই দুর্নীতিগ্রস্তদের পঞ্চায়েতের টিকিট পাওয়া উচিত নয়। তবে সাগরদিঘিতে হারের পিছনে পঞ্চায়েতের দুর্নীতিই প্রধানকারণ নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement