পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার প্রথম দিনে এমন ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে। নিজস্ব চিত্র।
কোথাও আধঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে ডিসিআর ফর্ম। ফিরে যেতে হয়েছে প্রার্থীদের। আবার কোথাও ঘণ্টা দুয়েক লাইনে দাঁড়ানোর পর মিলেছে মনোনয়নপত্র। ফর্ম তুলতে এসে অনেক জায়গায় দেখা মেলেনি সরকারি কর্মীদেরও! পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার প্রথম দিনে এমন ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে।
আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন প্রক্রিয়া। সেই মতো জেলার একাধিক ব্লকে মনোনয়নপত্র তুলতে ভিড় জমান বিরোধী প্রার্থীরা। অভিযোগ, সুতি ২ ব্লক অফিসে নির্ধারিত সময়ে, অর্থাৎ সকাল ১১টা নাগাদ লাইনে দাঁড়ানো সত্ত্বেও বেলা ২টো পর্যন্ত মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। শমসেরগঞ্জে আবার ব্লকের সরকারি কর্মীদের দেখা না পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বহরমপুর ব্লক অফিসে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু আধঘণ্টার মধ্যে ডিসিআর ফর্ম শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। দাবি, বিডিওর-ই দেখা মেলেনি! শুক্রবার গোটা মুর্শিদাবাদ জুড়েই এমন ছবি ধরা পড়েছে। এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘প্রথম দিন হওয়ায় কিছু জায়গায় একটু দেরি হয়েছে। মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি— এ রকম কোনও অভিযোগ মেলেনি। সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’
তবে প্রথম দিনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নিরিখে কার্যত ‘ফার্স্ট বয়’ বামেরা। জেলা জুড়ে ৩০০-রও বেশি মনোনয়নপত্র তুলেছে তারা। দাবি, প্রশাসন সহযোগিতা করলে সংখ্যাটা ৫০০ ছাড়াতে পারত। বহরমপুর ও সুতিতে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিজেপির ৫ প্রার্থী মনোনয়ন তুলেছেন। কিন্তু সেই অর্থে দেখা মেলেনি শাসক তৃণমূলের প্রার্থীদের! মুর্শিদাবাদ জেলা সিপিএমের সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা প্রথম দিন থেকেই মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছি। আমরা প্রস্তুত থাকলেও শাসকদল তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতে প্রশাসন যে ভূমিকা নিচ্ছে, তা অত্যন্ত লজ্জার।’’ পাল্টা জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘আজ প্রথম দিন। এখনও বেশ কয়েক দিন বাকি আছে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ করব।’’