করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এক ফেত্তা মাস্কের এখন বেশ চল। বহরমপুরের ৭ কিংবা ৮ নম্হর ওয়ার্ডে পা রাখুন, দেখবেন সেখানে সম্ভৎসর ‘করোনার ভয়’, প্রতিটা বাড়িতেই জানলার তাকে ঝুলছে মাস্ক!
আবর্জনার স্তূপ জমে টিলার চেহারা নিয়েছে। সেই আবর্জনার স্তুপে আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছে। যার জেরে ধোঁয়ায় ভরে আছে এলাকা— এ ছবি বহরমপুর শহরের রিং রোডের ধারে আবর্জনা ফেলার মাঠের। স্থানীয়দের অভিযোগ, এমনিতেই মাঠ উপচে আবর্জনা রাস্তার উপরে চলে আসে তার উপরে মাঝে মধ্যে আগুন লেগে ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা, শহরের ৭ এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলছেন, ‘সে এক দুর্বিষহ অবস্থা!’
সে পথে এলাকার বাসিন্দারা ঘুরছেন নাকে রুমাল না হয় সস্তার মাস্ক পড়ে। সমস্যার ভয়াবহতা সম্প্রতি বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠিতে জানিয়েছেন— ‘‘কাশিমবাজার সংলগ্ন রিং রোডের ধারে বহরমপুর পুরসভার আবর্জনা ফেলার মাঠ। সে মাঠের আবর্জনা পরিস্কার হয় না। যার জেরে এক দিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অন্য দিকে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়ে আবর্জনায় আগুন লেগে যাচ্ছে। আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’’
একনজরে
• আবর্জনায় আগুন লেগে দিবারাত্র ধোঁয়ায় ঢেকে থাকে শহরের বহু এলাকা।
• এলাকার মানুষ সারা বছর জানলা-দরজা খুলতে পারেন না
• ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৭ নম্বর ওয়ার্ড ঘিরে আবর্জনার দুর্গন্ধময় বাতাস
• শহরে এখনও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি বলে দাবি।
বহরমপুরের ৬ এবং ৭টি নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের রিং রোড ধরেই চলাচল। শহরের কুঞ্জঘাটা, কালিকাপুর, কাশিমবাজার, সৈদাবাদ ও খাগড়ার একাংশ ওই এলাকায় পড়ে। বাসিন্দারা জানান, এক দিকে কাশিমবাজার রেল স্টেশন অন্য দিকে খাগড়ার বাজার করা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ যাওয়ার পথও এটি।
বহরমপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৌসুমী ঘোষাল তাঁর নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে নিয়মিত সৈদাবাদ মণীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠে যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, ‘‘একটু হাওয়া দিলে ওই আবর্জনার স্তূপ থেকে গন্ধ একেবারে এলাকা ছেয়ে ফেলে। শরীর খারাপ করতে থাকে। অনেক সময়ে মাঝ পথেই ফিরে এসেছি ছেলেকে নিয়ে।’’
বহরমপুরের ওই ভাগাড় লাগোয়া কালিকাপুর কদমখণ্ডের বাসিন্দা রিঙ্কু মণ্ডল দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ার কারণে সব সময় বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ রাখেন। রিঙ্কু বলেন, ‘‘জানালা-দরজা খোলা থাকলেই ধোঁয়া, কটু গন্ধ নাকে এসে লাগে। দরজা-জানালা খোলার কোনও ইপায়ই নেই।’’
বহরমপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে শহরের ২৮ টি ওয়ার্ডের যাবতীয় আবর্জনা রিং রোডের ধারে ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা আর্বজনার মাঠে ফেলা হয়। শহরে এখনও বর্জ্য ব্যবস্থপনা গড়ে ওঠেনি। ফলে বর্জ্যের পাহাড় জমছে। তবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু তত দিন?