স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে বাস। কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
কিছু এলাকায় সামান্য বেশি, আবার কিছু এলাকায় একেবারে শূন্য, সোমবার নদিয়ার বাস চলাচল চিত্র ছিল এ রকমই।
যেমন যাত্রীর অভাবে এ দিন শিমুরালি থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য একটি বেসরকারি বাসের ব্যবস্থা করেও তা চালানো সম্ভব হয়নি। ঠিক হয়েছিল, সোমবার সকালে চাকদহ থানার শিমুরালি স্টেশনবাজার থেকে একটি বেসরকারি বাস যাত্রী নিয়ে কলকাতা যাবে এবং ফিরবে। কিন্তু পর্যাপ্ত যাত্রী না- হওয়ায় এ দিন বাসটি যেতেই পারেনি। কৃষ্ণনগর-মাজদিয়া রুটে বিয়াল্লিশটি ও কৃষ্ণনগর-বাদকুল্লা রুটের বারোটি বাসের মধ্যে এ দিন কোনও বাস চলেনি। খারাপ অবস্থা ছিল কৃষ্ণনগর-পাটিকাবাড়ি রুটেরও। তিরিশটির মধ্যে সেখানে দু’টি বাস চলেছে। কৃষ্ণনগর-বাবলারি রুটের তেরোটির মধ্যে একটি বাস চলেছে। কৃষ্ণনগর রানাঘাট ভায়া শান্তিপুর রুটে একত্রিশটি বাসের মধ্যে চারটি চলেছে।
তুলনায় কিছুটা ভাল ছিল করিমপুর-কলকাতা রুটের অবস্থা। সাতটি বাসের মধ্যে এ দিন ছ’টি বাস চলেছে। কৃষ্ণনগর-হৃদয়পুরের মধ্যে বারোটি বাসের মধ্যে ছ’টি চলাচল করছে। কৃষ্ণনগর-তেহট্টঘাট ভায়া দেবগ্রাম রুটেও এ দিন সাতটি বাস চলাচল করছে। ওই রুটগুলিতে যাত্রী সংখ্যাও তুলনায় ভাল ছিল।
তবে নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ড থেকে এ দিন মাত্র চারটি রুটে বাস চলেছে। কিন্তু তারই মধ্যে এ দিন নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ড থেকে কলকাতাগামী একটি বিশেষ সরকারি বাসের যাত্রা শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে শনিবার— সপ্তাহে ছ’দিন ৫৬ আসনের ওই বাসটি কলকাতায় যাবে। সকাল সাড়ে ছয়টায় নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ড থেকে তা ছাড়বে এবং আবার বিকালে সাড়ে পাঁচটায় ধর্মতলা থেকে ফিরতি রুটে যাত্রা করবে। বাসের ভাড়া যাত্রীপিছু ১১৫ টাকা ঠিক হয়েছে। নদিয়া বাসমালিক সমিতির সভাপতি কুণাল ঘোষের কথায়, ‘‘বাস চলে প্যাসেঞ্জারের উপর। সপ্তাহের প্রথম দিন প্যাসেঞ্জার একটু বেশি থাকে বলে কিছু রুটে একটু বেশি বাস চলেছে। সপ্তাহের বাকি দিন একই চিত্র থাকবে কিনা বলা যাচ্ছে না।’’ সোমবার রানাঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রুটের বারোটি বাস চলাচল করেছে। এ ছাড়া দু’টি বাস কলকাতায় গিয়েছে। এ দিন চাকদহ বাসস্টান্ড থেকে পনেরোটি বাস চলাচল করেছে। রানাঘাট বাস মালিক সমিতির চেয়ারপার্সন মদন দাস বলেন, “যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে বলে রাস্তায় বাস অন্য দিনের তুলনায় বেশি চলছে। আবার লকডাউন না হলে আর খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই মনে হচ্ছে।”
নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য অসীম দত্ত বলেন, “ছবিটা অল্প হলেও বদলেছে। জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুট মাজদিয়া বা বাদকুল্লায় যেমন এ দিন কোনও বাস চলেনি। তেমনই করিমপুর-কলকাতা রুটে বাস ও যাত্রী দুই-ই বেড়েছে। তারাপীঠের মন্দির খোলার এ দিন আগাম খবরে কৃষ্ণনগর-তারাপীঠ বাসের খোঁজ নিয়েছেন বহু যাত্রী। এ দিন ওই রুটে একটি বাস চলেছেও।’’