পাশে আছি। নিজস্ব চিত্র
মোটরবাইকে ঝুলছে খাবারের ব্যাগ। তা নিয়েই দিনরাত এই গ্রাম, সেই গ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন দুই বন্ধু। এক মাস ধরে, লকডাউন শুরু হওয়ায় দোকানপাট বন্ধ। ফলে অনাহারেই দিন কাটছিল ভবঘুরেদের।গৌতম দাস এবং তাঁর বন্ধু কান্দিপাড়ার আশরফ আলি নিজেদের টাকায় সেই সব ভবঘুরেদেরই দু’বেলা খাবার সরবরাহ করছেন।
হরিহরপাড়ার বাসিন্দা গৌতম পেশায় চিত্রকর। তাঁর বন্ধু আশরফ আলির বাড়ি কান্দিপাড়ায়। তিনি পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। করোনা ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পর বাড়িতে বসে কী ভাবে কাটবে, তা ভেবেই মুষড়ে পড়েছিলেন দুই বন্ধু। তখনই মাথায় এসেছিল ভাবনাটা। দুই বন্ধু স্থির করেন, যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়ানো ভবঘুরে বা মানসিক ভারসাম্যহীনদের দু’বেলা আহারের ব্যবস্থা করবেন তাঁরা। গৌতম-আশরফ বললেন, ‘‘মোটামুটি ১০-১২ জন ভবঘুরে, মানসিক ভারসাম্যহীনকে আমরা রোজ খেতে দিচ্ছি। বাড়তি প্যাকেট খাবার রাখা থাকে। কোনও অভুক্ত চোখে পড়লে তাঁদের দিয়ে দিই।’’ দুই বন্ধুর এহেন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এলাকার বাসিন্দারাও। ইতিমধ্যে অনেকেই অর্থসাহায্য করে দু’জনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।