অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন তৃতীয় দিনে তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর দাবি করল কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, শাসকদলের অন্তত ৫০০ জন নেতা-কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের বেলডাঙা-হরিহরপাড়া থেকে বাস ভাড়া করে বহরমপুরের দলীয় অফিসে এনে যোগদান করিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে। পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূলও। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছে বলে দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই।
মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই শাসকদল তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস জোটের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি এলাকা। সোমবারও সকাল হতেই দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর আসতে শুরু করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কোথাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, কোথাও আবার শাসকদলকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে বাম-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে। এই আবহে তৃণমূলে ভাঙনের দাবি করল কংগ্রেস।
বেলা বারোটা নাগাদ বহরমপুরের জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ে একের পর এক বেসরকারি বাস ভিড় জমাতে শুরু করে। কিছু ক্ষণ পরেই জানা যায়, বেলডাঙা ভাবতা-সহ অন্য অঞ্চল থেকে প্রায় ৫০০ জনের বেশি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা অধীরের হাত ধরে কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের শেষের শুরুর হল।’’ শুক্রবার খড়গ্রামে নিজের বাড়িতে গলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। সেই খড়গ্রাম থানা এলাকার কীর্তিপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মুজিবুল হকও সোমবার দলের সমস্ত পথ থেকে ইস্তফা দেন। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় এই ইস্তফা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘মনোনয়নের নামে জেলা জুড়ে যে পেশি শক্তির আস্ফলন দেখাচ্ছে বাম-কংগ্রেস, তার উত্তর আমাদের কাছে আছে। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে আমরা ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। তাই বলে কোনও ভাবেই তৃণমূলকে দুর্বল ভাববেন না। তৃণমূল গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পক্ষে।’’