জল ঠেলে যাতায়াত। ধুলিয়ানে। নিজস্ব চিত্র
নাগাড়ে বৃষ্টি। আর তাতে ফের জলে ভাসল ধুলিয়ান। সমশেরগঞ্জ থানার সামনে হাঁটু-ডোবা জল। গোটা শহরটাই কার্যত জলবন্দি।
কাহারপাড়া, গুড়িপাড়া, নতুনবাজার, কামাথ, সামশেরগঞ্জ মাঠ পাড়া, হিজলতলা সব এলাকাতেই জল থই থই। শহরের ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ড এ দিন জলে ভেসেছে। শহরে ঢোকার প্রধান রাস্তাটি ঘোষপাড়া থেকে শিবমন্দির পর্যন্ত প্রায় এক ফুট জলের তলায়। সমশেরগঞ্জ থানার সামনেও দাঁড়িয়ে জল। তার মধ্যে দিয়ে চলছে যানবাহন। বৃষ্টির এই জমা জল এই মুহূর্তে সরিয়ে ফেলার কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি পুরকর্তারা।
এ মরসুমে গোটা জেলায় বৃষ্টি হয়েছে কমবেশি। কিন্তু কোথাও জলবন্দি হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। কিন্তু ভূ প্রকৃতিগত কারণে বৃষ্টির জলে কাবু হয়েছে পড়েছে ধুলিয়ান। শহরের যে দিকেই তাকানো যায় জল থই থই করছে।
একশো বছরের বেশি পুরনো শহর হলেও ধুলিয়ানে জল নিকাশির কোনও সুবন্দোবস্ত নেই। তার উপরে ধুলিয়ান শহরের চারিদিকটা উঁচু, মাঝখানটা নিচু। এক সময় শহরের আশপাশ এলাকাগুলি বেশির ভাগই ছিল ফাঁকা। ফলে শহরের বৃষ্টির বাড়তি জল মাঠ বেয়ে বেড়িয়ে যেত অনায়াসেই। এখন শহর লাগোয়া সব জায়গায় ঘনবসতি গড়ে উঠেছে। শহরের জল বেরোতে পারছে না। আর সে কারণেই বৃষ্টির জমা জলে প্রায় মাস চারেক ডুবে থাকে ধুলিয়ান।
জলভাসি ধুলিয়ানের পরিস্থিতি গুরুতর তা মেনে নিয়ে পুরপ্রধান সুবল সাহা বলছেন, “এক নাগাড়ে বৃষ্টির জন্য শহরে সব নিকাশি নালা এখন জলের তলায়। তাই শহর ডুবছে।”
আগামী দু’দিন ভারি বৃষ্টির যে আশঙ্কা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে আশঙ্কায় মেঘ ঘিরে ধরেছে ধুলিয়ানকে।
পুরপ্রধান বলেন, “যে ভাবে বৃষ্টি চলছে তাতে আমি নিজেই আতঙ্কিত। কী ভাবে কি সামাল দেব বুঝতে পারছি না।’’ তাঁর দাবি, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শহরের নিকাশি ব্যবস্থার জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করতে বলে চার দফায় টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রথম দফায় ৪০ কোটির প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। আরও ৪ কোটি টাকার প্রকল্প ভেটিং করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সে টাকা কবে মিলবে তা অবশ্য নিশ্চিত বলতে পারেননি পুরপ্রধান।