ফাইল চিত্র
ফের ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সংশোধন, সংযোজন-বিয়োজনের কাজ শুরু হল। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই এক মাস ধরে বুথ লেভেল অফিসারেরা জেলা জুড়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকায় তথ্য ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য ভোটার স্লিপ দেবেন। এ ছাড়াও এই সময়কালে প্রতি শনি ও রবিবার বুথে বুথে বিশেষ শিবিরও করা হবে। সেখানে খসড়া ভোটার তালিকা রাখা থাকবে। সেই তালিকায় নিজের তথ্য যেমন মিলিয়ে দেখা যাবে, তেমনই ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সংশোধন-সহ অন্য আবেদনপত্রও জমা দেওয়া যাবে। সব কিছু খতিয়ে দেখে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের নির্বাচন দফতরের অফিসার ইনচার্জ ম্যাঘপোন ডি লামা বলেন, ‘‘ভোটার তথ্য যাচাইয়ের সময় মুর্শিদাবাদের ১৪ লক্ষ ভোটার সংশোধনের জন্য এবং সাড়ে পাঁচ হাজার নতুন ভোটার নাম তোলার আবেদন করেছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম যেমন তোলা হয়েছে, তেমনি সংশোধনও করা হয়েছে।’’
মাস চারেক আগে অসমের নাগরিকপঞ্জিকরণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতেই ১৯ লক্ষ মানুষের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছিল। ঠিক সে সময় নির্বাচন কমিশন দেশ জুড়ে ‘ইলেক্টরস ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম’ (ইভিপি) বা নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচি শুরু করেছিল। ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়া ও রেশন কার্ড সংশোধনীর কাজও শুরু হয়েছিল এ রাজ্যে। পড়শি রাজ্যের নাগরিকপঞ্জির আঁচ পড়েছিল মুর্শিদাবাদেও। সেই সময় বিডিও অফিসগুলিতে রেশন কার্ড সংশোধনের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ যেমন ভিড় জমিয়েছিলেন, তেমনই অনলাইনে ভোটার তথ্য যাচাইয়ের সময়ও ১৪ লক্ষ মানুষ সংশোধনের আবেদন করেছিলেন।
এ বারে ফের ভোটার তালিকার কাজ শুরু হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী মুর্শিদাবাদের ভোটার সংখ্যা ৫১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৮৭ জন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে তা দেওয়া হয়েছে। সর্বদলীয় বৈঠক করে ভোটার তালিকার কাজের কথা জানানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সচেতনও করা হচ্ছে। প্রতি বছর এমন কাজ সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। কিন্তু এ বারে ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচির কারণে তা পিছিয়ে ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে।