সব সম্ভব
করিমপুর
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ভোটের হাওয়াও তত গরম হচ্ছে। আগামী শনিবার নির্বাচনী প্রচারে করিমপুরে আসার কথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা শুনে বাজারের চায়ের দোকানে বসা এক যুবক বেমক্কা বলে বসলেন, ‘‘মমতার সঙ্গে কি সূর্যকান্তও আসছেন নাকি?’’ সকলে হইহই করে উঠলেন, ‘‘চড়া রোদে দেখছি মাথাটা একেবারেই বিগড়েছে! ওরে, মমতা তৃণমূল আর সূর্যকান্ত সিপিএম। সবই দেখছি এক করে দিচ্ছিস।’’ ওই যুবক অবশ্য ততক্ষণে আমতা আমতা করছেন। তাঁকে ভরসা দিলেন এক বৃদ্ধ, ‘‘শোন বাবা, আগামী দিনে এমনটা না হওয়ারও কিছু নেই। আগে কেউ ভেবেছিলেন যে, অধীর-সূর্যকান্তকে এক মঞ্চে দেখা যাবে। রাজনীতির এই দুনিয়ায় সবই সম্ভব।”
মশারি-ভোট
করিমপুর
ভোট যায়, ভোট আসে। ভোটের হাওয়ায় ভাসে অজস্র প্রতিশ্রুতি। কোনওটা পূরণ হয়। কোনওটা হয় না। বুধবার করিমপুরে এক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মাইকে শোনানো হচ্ছিল এলাকার সমস্যার কথা। সে সব সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছিল। যা শুনে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ঘোড়ার গাড়ির এক চালক বললেন, ‘‘পানীয় জল, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতালের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ওসবের আর দরকার নেই। এ বার আমার ঘোড়ার জন্য যে দল একটা মশারি দেবে ভোটটা আমি তাকেই দেব। গরমের সঙ্গে সঙ্গে মশাও খুব বেড়েছে। বেচারা ঘুমোতে পারছে না!’’ নাহ্, চালক বেশ জোরেই কথাগুলো বলছিলেন। কিন্তু ঘোড়া হাসেনি।
উধাও পতাকা
কৃষ্ণনগর
সিপিএমের পতাকা, ফেস্টুন খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ধুবুলিয়ার বটতলা এলাকায়। কৃষ্ণনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সিপিএমের জগন্নাথ ঘোষের অভিযোগ, ‘তৃণমূলের লোকজন আমাদের দলের শতাধিক পতাকা ও ফেস্টুন খুলে নিয়ে পালিয়েছে। এ ভাবে লাল পতাকা, ফেস্টুন সরিয়ে দিয়ে শাসক দল মানুষের মন থেকে আমাদের মুছতে পারবে না। তৃণমূল ভয় পেয়ে এ সব করছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে কৃষ্ণনগর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, “হার নিশ্চিত জেনে এ সব বলছে সিপিএম।’’