বিসর্জনের পথে বুড়িমা। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
সাঙে প্রতিমা বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় এ বারও আশান্তি এড়ানোগেল না।
কোথাও মুখোমুখি হওয়া দুই বারোয়ারির লোকজন নিজেদের মধ্যে মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন, আবার কোথাও গোলমালে জড়িয়ে পরস্পরের দিকে ইটবৃষ্টি করলেন। ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হলেন রাস্তার পাশে দাঁডিয়ে থাকা দর্শনার্থী আবার অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে আহত হলেন কর্তব্যরত সিভিক ভল্যান্টিয়ার। আবার এই সব ছাপিয়ে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে গৃহকর্তাকে কুপিয়ে গেল এক দল হামলাকারী, যারা আবার একটি বারোয়ারির সদস্য বলে পরিচিত। গৃহকর্তার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
বরাবরই জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের শোভাযাত্রায় কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বারোয়ারিগুলি নিজেদের মধ্যে আশান্তিতে জড়ায়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না। এ দিন গভীর রাতে বাঘাডাঙা বারোয়ারির প্রতিমা রাজবাড়ির দিকে আসছিল। সেই সময় চকেরপাড়া এলাকায় একটি বাড়ির ছাদ থেকে সেই প্রতিমা লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বাঘাডাঙার ছেলেরাও তখন পাল্টা ইট ছোড়ে। গোলমাল বাড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। এর কিছু ক্ষণ পরই রাজবাড়ির কাছেই বেনু ঘোষের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে চকেরপাড়ার কয়েক জনের বিরুদ্ধে।
বেনু ঘোষের ছেলে দিব্যেন্দু চকেরপাড়ায় বসবাস করলেও প্রতি বছর বাঘাডাঙার প্রতিমান সঙ্গে বের হন। তাই এই ঘটনার পর চকেরপাড়ার লোকজনের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তাঁর উপরে। প্রায় জনা পাঁচেক লোক তাঁর বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। বছর বাষট্টির বেনু ঘোষকে অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ।
আবার পাবলিক লাইব্রেরির সামনে গোলমাল হয় হাতারপাড়া বারোয়ারি ও বউবাজার বারোয়ারির। বউবাজার বারোয়ারি প্রতিমা নিয়ে আসছিল। সেইসময় হাতারপাড়া মোড় থেকে তাদের লক্ষ্য করে ইট মারা হয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় ইট ছোড়াছুড়ি। এক প্রবীণ দর্শনার্থী ও দুই সিভিক ভল্যান্টিয়ারের মাথা ফেটে যায়। এই ঘটনার পর বউবাজার বারোয়ারি প্রতিমা রাজবাড়ি পর্যন্ত না নিয়ে গিয়ে বেশ কিছুটা আগেই বিসর্জন ঘাটের দিকে নিয়ে আসে।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত এই সব অশান্তির ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।