পালাবদলের পরে, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির দাপাদাপি বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীর ক্রমাগত নির্দেশ এবং তার অন্যথা— পাল্লা দিয়ে চলেছে।
সেই তালিকায় নব্য সংযোজন জিয়াগঞ্জের শ্রীপৎ সিংহ কলেজের শিক্ষক সুকুমার রায়। প্রহৃত ওই শিক্ষক তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার জেলা সভাপতি। এ দিন স্থানীয় থানায় তাঁর অভিযোগ, শুধু মারধর করাই নয়, তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে টিএমসিপি-র জেলা সহ-সভাপতি সুমন দাস।
অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ সামসুজ্জামান আহমেদও।
শনিবার দুপুরে জিয়াগঞ্জের ওই কলেজে সুকুমারবাবুকে হেনস্তার পরে তাঁকে প্রথমে জিয়াগঞ্জের হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পরে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর কানের লতি ছিঁড়ে গিয়েছে। আঘাত লেগেছে হাতেও। ওই ঘটনায় অবশ্য কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
সুকুমারবাবু ওই কলেজের ওপেন ইউনিভার্সিটির কোঅর্ডিনেটর। সম্প্রতি অধ্যক্ষ তাঁকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য এক শিক্ষককে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন। গোলমালের সূত্রপাত তা নিয়েই। এ ব্যাপারে সুকুমারবাবুর দাবি, ‘‘আমাকে নিয়োগ করেছন কলেজ পরিচালন সমিতি। সেই সমিতির নির্দেশ ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তর করব না।’’ কলেজের অধ্যক্ষ পাল্টা বলছেন, ‘‘নিয়োগ করেন অধ্যক্ষ। পরিচালন সমিতি নয়।’’ সুমনের দাবি, ‘‘আমাকে অধ্যক্ক্ষ পছন্দ করেন, তাই দোষ পড়েছে আমার ঘাড়ে।’’
শিক্ষক হেনস্তার খবরের অবশ্য বিরাম নেই। এ দিন, খড়গ্রামের বালিয়া পরেশনাথ সিংহ উচ্চবিদ্যালয়েও এক ছাত্রীর বাবার হাতে মার খেয়েছেন স্কুলের শিক্ষক তমাল পাল। প্রহৃত শিক্ষক শিক্ষক তমাল পাল কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোনও অভিযযোগ দায়ের করেননি।