প্রতীকী চিত্র
কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ নদিয়ায় আনাজ তেমনই অগ্নিমূল্য। তবে উত্তরে গত সপ্তাহের তুলনায় আজ, রবিবার আনাজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন ক্রেতারা। কারণ গত রবিবারের তুলনায় পটল, বেগুন ও লঙ্কার দাম কমেছে। অন্য আনাজের দামের বিশেষ ফারাক অবশ্য নেই।করিমপুর বাজারে গত সপ্তাহের ৪০ টাকা কেজি পটল ও বেগুন কমে হয়েছে ৩০ টাকা, ১৫০ টাকা কেজি লঙ্কার দাম এখন ১০০ টাকার মধ্যে। করিমপুরের খুচরো আনাজ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ মন্ডল জানান, টানা মাস দুই আনাজের দাম অনেক বেড়ে রয়েছে। খুচরো ব্যবসায়ীদেরও বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে শনিবার পটল, বেগুন ও লঙ্কার দাম কমেছে। তাঁর কথায়, “আলুর দাম না কমলে খুব সমস্যা। এ দিনও পঞ্চাশ কেজি জ্যোতি আলু ১৪৮০ টাকায় পাইকারি কিনে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।”
হোগলবেড়িয়ার পাইকার উৎপল মণ্ডলও জানান, ঝিঙে, উচ্ছে, পেঁপের পাইকারি দাম একই থাকলেও গত সপ্তাহের চেয়ে পটল, বেগুন ও লঙ্কার দাম অনেকটাই কমেছে। শনিবার পটল ২৪-২৭ টাকা, বেগুন ১৮-২২ টাকা ও লঙ্কা ৬০-৬৫ টাকা কেজি পাইকারি দামে চাষিরা আনাজ বিক্রি করেছেন। গত শনিবার ছিল পটল ৩৪ টাকা, বেগুন ৩৩-৩৬ টাকা কিংবা লঙ্কা প্রায় ১০০ টাকা কেজি। উৎপল জানান, পটল ও বেগুনের উৎপাদন বাড়েনি কিন্তু বাজারে লঙ্কার আমদানি বেড়েছে। কিন্তু এখন বাজারে অন্য অনেক আনাজ চলে এসেছে। ফলে এই সময়ে পটলের উৎপাদন কমবে, পাশাপাশি চাহিদাও কমবে। আবার কয়েক মাস পরে, শীতের সময় ক্রেতারা নতুন করে পটল কিনবেন।
তবে আনাজের চাহিদা ও দামের ছবি কিছুটা আলাদা জেলার দক্ষিণে। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারেরা আসায় চাকদহ থানার মদনপুর বাজারে আনাজের দাম কমছে না। পাইকার অসিত গোলদার বলেন, “মাঝে দু’দিন দাম একটু কম ছিল। গত সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে খুব একটা কমবেশি হয়নি।” মদনপুর ভেন্ডার সমিতির সভাপতি প্রাণকৃষ্ণ বাছার বলেন, “আপাতত আনাজের দাম কমার তেমন সম্ভাবনা দেখছি না। একেই বৃষ্টিতে সব জায়গায় আনাজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার পর কলকাতা- সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে পাইকারেরা আনাজ কিনতে আসছেন। সে কারণে চাহিদা রয়েই গিয়েছে। এখনই আনাজের দাম কমার সম্ভাবনা দেখছি না।”