অ্যাম্বুল্যান্স পেরোতে ভরসা বাঁশের সাঁকো

কংক্রিটের সেতু কবে শেষ হবে ঠিক নেই। নদী পেরোতে বানানো হয়েছে বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো দিয়েই পার হচ্ছে চারচাকা গাড়ি, দু’চাকার মোটর-সাইকেল। মায় মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে বা সদ্যোজাতকে নদী পেরোতে অ্যাম্বুল্যান্সও ধরে ওই পথ। কিন্তু ঝুঁকির এই যাত্রা নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারও। নওদার রাধানগর ঘাট থেকে নদিয়ার পলাশিপাড়া যেতে হলে পার হতে হয় ওই বাঁশের সাঁকো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নওদা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৬ ০২:১৫
Share:

বাঁশের সেতু দিয়েই মাটি বোঝাই ট্রাক্টর। —নিজস্ব চিত্র

কংক্রিটের সেতু কবে শেষ হবে ঠিক নেই। নদী পেরোতে বানানো হয়েছে বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো দিয়েই পার হচ্ছে চারচাকা গাড়ি, দু’চাকার মোটর-সাইকেল। মায় মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে বা সদ্যোজাতকে নদী পেরোতে অ্যাম্বুল্যান্সও ধরে ওই পথ। কিন্তু ঝুঁকির এই যাত্রা নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারও।

Advertisement

নওদার রাধানগর ঘাট থেকে নদিয়ার পলাশিপাড়া যেতে হলে পার হতে হয় ওই বাঁশের সাঁকো। দুই জেলার কয়েক লক্ষ মানুষ পারাপারের জন্যই সেতু ভরসা। বেলডাঙা বা বহরমপুর হয়ে নদিয়ায় যেতে হলে বাড়তি ২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরতে হয়। তাই বাড়তি রাস্তা এড়াতে তাই সাঁকোর পথই ধরেন। সাঁকো পেরোতে চার-চাকা গাড়ির ভাড়া ৫০ টাকা ও মোটরবাইকের জন্য ভাড়া চালক-সহ ১০ টাকা।

কিন্তু ভারি ভারি যানবাহন পেরোনোর জন্য ওই সাঁকো কতটা নিরাপদ? স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ওই সেতু মেরামত করা হয়নি। তাই আপাত ভাবে শক্তপোক্ত দেখালেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অন্য দিকে, বাসিন্দাদের দাবি, ওই সাঁকোর জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে জলঙ্গির স্রোত।

Advertisement

নওদার পঞ্চাতেয় সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের সাহাবুদ্দিন মোল্লা জানান, ঘাটটি নদিয়ার তেহট্ট-২ পঞ্চাতেয় সমিতি দেখভাল করে। তবে বাঁশের সাঁকোটি পঞ্চায়েত সমিতির তৈরি নয়। যাঁরা ঘাট চালান, তাঁরাই ওই সাঁকো তৈরি করেছেন। তেহট্ট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের বাসতুল্লা শেখ বলেন, ‘‘পরিষেবা নিয়ে কেউ কোনও সমস্যার কথা বলেননি। তবে যখন শুনলান তখন যাঁরা ওটা দেখাশোনা করেন তাদের বলে দেওয়া হবে। তাতে সমস্যা না মিটলে আগামী দিন ঘাট চালানোর দায়িত্ব তাঁদের দেওয়া হবে কিনা ভাবা হবে।’’

নদিয়ার পলাশিপাড়ার বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী অনিকেত জোয়ারদার বলেন, ‘‘আলো না থাকায় গাড়ি ও মোটরবাইকে যাতায়াতকারীদের কাছে চুরি, ছিনতাই-এর কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু এই ঘটনার জেরে মাঝে মাঝে পুলিশ টহল চলে ফলে। বর্তমানে ছিনতাই এর ঘটনা কিছুটা কমেছে।’’

প্রশাসনের মতে, জলঙ্গির উপর রাধানগর ঘাট পর্যন্ত কংক্রিটের সেতু তৈরি হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু সে সেতুর কাজ বর্তমানে ব‌ন্ধ। কবে শেষ হবে কংক্রিটের সেতু তৈরির কাজ? এ বিষয়ে পূর্ত দফতরের জেলা নিবার্হী বাস্তুকার শুভঙ্কর মাঝি বলেন, ‘‘যে সংস্থা কাজ করছিল তারা ২০০৯ সালের রেটে কাজ করবে না বলে জানিয়েছে। তাই সাময়িক ভাবে কাজ বন্ধ আছে। নতুন করে টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement