প্রতীকী ছবি।
৪৪০টি নকল মুদ্রা আসল বলে বিক্রি করে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই প্রতারককে বৃহস্পতিবার বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে গ্রেফতার করল সাগরদিঘি থানার পুলিশ। ধৃত দুই প্রতারকের নাম শেখ সাদেক ও জাকিরুল শেখ। বাড়ি সাঁইথিয়ার ব্রহ্মরকল গ্রামে। অভিযুক্তদের শুক্রবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে ১২ দিনের জন্য তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জঙ্গিপুরের সরকারি আইনজীবী রাতুল বন্দ্যোপাধায় জানান, আসল বলে ৪৪০টি নকল সোনার কয়েন বিক্রির জন্য সাঁইথিয়ায় ডেকে ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে দুই ব্যক্তি। দ্বিতীয় বার একই কায়দায় প্রতারণা করার চেষ্টা করে তারা। এরপর সাগরদিঘি পুলিশ ফাঁদ পেতে মহম্মদবাজার থানার সাহায্য নিয়ে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রতারিত ব্যক্তির বাড়ি সাগরদিঘির একটি গ্রামে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মাস তিনেক আগে একটি মোবাইল থেকে তাঁর নম্বরে ফোন করে এক অচেনা ব্যক্তি। সে আমাকে জানায় মাটি খুঁড়ে কিছু পুরনো সোনার টাকা পেয়েছি। সেগুলি সস্তায় বিক্রি করতে চায়।’’ তিনি জানান, সস্তায় পাবেন বলে তা কিনতে রাজিও হন। দিন ১৫ পরে তিনি সাঁইথিয়া যান নগদ ৯ লক্ষ টাকা সঙ্গে নিয়ে। সাঁইথিয়ায় গিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করলে সে ৯ লক্ষ টাকা নিয়ে ৪৪০টি সোনার কয়েন তাঁকে দেয়।
বিশ্বাস করে সোনা ভেবে তিনি সমস্ত মুদ্রা সাগরদিঘিতে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন।তাঁর কথায়, পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে এই সোনার মুদ্রাগুলি আনেন তিনি। দু’চার দিন যেতেই সন্দেহ হয় তার। এরপর একাধিক সোনার দোকানে একাধিক কয়েন পরীক্ষা করে জানতে পারেন সবই নকল সোনা। পরে যে নম্বর থেকে প্রথম ফোন এসেছিল তাঁর কাছে, সেখানে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিবারই মোবাইলের সুইচ বন্ধ ছিল তার। ফলে আর যোগাযোগ হয়নি। লজ্জায় কাউকে সে প্রতারণার কথা জানাতেও পারেননি তিনি। জানাননি পুলিশকেও।
গত কয়েক দিন থেকে ফের অন্য এক মোবাইল নম্বর থেকে এক ব্যক্তি একই কায়দায় সোনার কয়েন পেয়েছি বলে ফোন করতে থাকেন তাঁকে। বলা হয় তাকে বীরভূমের রামপুরহাটে আসতে। তাঁর গলা শুনে বুঝতে পারেন সেই একই ব্যক্তি ফোন করছে। এরপরই প্রতারিত ব্যক্তি সাগরদিঘি থানায় রবিবার সমস্ত ঘটনা জানিয়ে এফ আই আর দায়ের করেন। এরপর ফাঁদ পাতে পুলিশ।