সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজে নেমে মৃত্যু দু’জনের

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম কাবিল শেখ (২০) এবং মুস্তাফিজুর রহমান (১৯)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নওদা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল দু’জনের। বুধবার দুপুরে নওদার শ্যামনগর হরিকানা এলাকার ঘটনা। ওই দু’জনকে উদ্ধার করতে ট্যাঙ্কে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও তিন গ্রামবাসী।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম কাবিল শেখ (২০) এবং মুস্তাফিজুর রহমান (১৯)। তাঁদের বাড়ি শ্যামনগর হরিকানা গ্রামেই। দু’জনেই রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, এদিন ওই গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল শেখের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ করছিলেন কাবিল এবং মুস্তাফিজুর। প্রায় দু’ ধরে তাঁরা ওই কাজ করছিলেন। ১৫ ফুট গভীর সেপটিক ট্যাঙ্কটি। এদিন দুপুরে ট্যাঙ্কের আচ্ছাদনের ঢালাইয়ের তক্তা খুলে প্লাস্টারের কাজ করতে নেমেছিলেন ওই দুই যুবক। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ দু’জনের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় বাড়িওয়ালা রফিকুলের। সম্পর্কে ভাইপো মুস্তাফিজুরের নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করেন তিনি। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। পাশেই কাজ করছিলেন মুস্তাফিজুরের বাবা কাফিক শেখ। তিনি উঁকি মেরে দেখেন, ট্যাঙ্কের মেঝেয় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে কাবিল এবং মুস্তাফিজুর। এরপর তিনি তড়িঘড়ি দু’জনকে উদ্ধার করতে নামেন। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সংজ্ঞা হারান।

তাঁকে উদ্ধার করতে ট্যাঙ্কে নেমে অসুস্থ হয়ে পড়েন হালিম সেখ ও মাহিরুল শেখ নামে আরও দুই গ্রামবাসী। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পাঁচ জনকে দড়ি বেঁধে ওপরে তোলেন। আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচ জনকে। সেখানকার চিকিৎসকরা কাবিল ও মুস্তাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করেন। হালিম ও মাহিরুল আপাতত সুস্থ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কাফিক মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অনুমান করা হচ্ছে, ট্যাঙ্কে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই পাঁচ জন। তবে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করেই বাড়িতে নিয়ে চলে যায় দু’জনের পরিবার। দুই ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, সরকারি হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হল। অথচ, পুলিশকে না জানিয়ে কেন দেহ দু’টি ছেড়ে দিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, ঘটনার খবর পেয়েও পুলিশ দেহ দু’টির ময়নাতদন্ত করাতে কেন উদ্যোগী হল না, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। এ নিয়ে নওদা থানায় যোগাযোগ করা হলে সেখানকার পুলিশ দাবি করে, এমন কোনও ঘটনার কথা তারা জানে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement