বাঁ দিক থেকে প্রতাপ হালদার ও তড়িৎকান্তি সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
ভাঙন অব্যাহত মুর্শিদাবাদের বিজেপি শিবিরে। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে এ বার সরে দাঁড়ালেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের দুই বিজেপি নেতা। তাঁরা হলেন, দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার এবং দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির কর্মসমিতির সদস্য তড়িৎকান্তি সরকার। দু’জনেই দক্ষিণ মুর্শিদাবাদের জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের বিরুদ্ধে ‘একনায়কতন্ত্র’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন।
রবিবার লালবাগে বিজেপির দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে দলীয় পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন প্রতাপ এবং তড়িৎকান্তি। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষও ইস্তফা দিয়েছেন। এর পর রবিবারের এই জোড়া ইস্তফা মুর্শিদাবাদে গেরুয়া শিবিরের রক্তচাপ কিছুটা বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ইস্তফার কারণ তুলে ধরতে গিয়ে প্রতাপ এবং তড়িৎকান্তি দু’জনেই জেলা সভাপতিকে বিঁধেছেন। প্রতাপের কথায়, ‘‘তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পুরভোটে হয়তো জেলা সভাপতি টাকা খেয়ে ভুলভাল প্রার্থী দিয়েছেন। আমাদের কথা শোনা হয়নি। নিজেদের ইচ্ছামতো মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে। অযোগ্য লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ আবার তড়িৎকান্তির অভিযোগ, ‘‘মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলার দলীয় সভাপতির একনায়কতন্ত্র আমরা মানতে পারছিলাম না। ওঁর কমিটিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ লোকজনের ঠাঁই হয়েছে। সভাপতির ভাষাও খারাপ। তা নিয়ে আমাদের কাছে নানা জায়গা থেকে ফোন আসছে। সেই জন্য আমরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।’’ দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেও সংগঠনের কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে পদত্যাগী দুই বিজেপি নেতা।
অন্য দিকে ওই দুই নেতার পদত্যাগ নিয়ে শাখারভের বক্তব্য, ‘‘দল ওঁদের গুরুত্ব দিয়েছিল বলেই গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছিল। মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ তাতে ওঁদেরও সই আছে। তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই ওই দুই নেতা এমন কাজ করেছেন। আমি বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।’’