নদিয়ায় বোর্ড গঠন ঘিরে বেনজির পরিস্থিতি। — নিজস্ব চিত্র।
আজব পরিস্থিতি নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। ভালুকা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে সর্বাধিক আটটি আসন পেয়েছে সিপিএম। ছ’টি আসন পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল পেয়েছে তিনটি আসন। ১৮ আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে দরকার ন্যূনতম ন’জনের সমর্থন। ফলে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের কদর বাড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড দখলের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বামেরা। পিছিয়ে নেই বিজেপিও। তৃণমূল সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদ ‘পাইয়ে’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বামেদের হারিয়ে বোর্ড নিজেদের দখলে করতে চাইছে বিজেপি। বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে নিয়ে বাম-রামের এই দড়ি টানাটানি দেখে মুচকি হাসছেন শাসক শিবিরের নেতারা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে একাধিক জায়গার মতো ভালুকাতেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী প্রার্থিপদ পাওয়া নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জিন্নাত শেখের গোষ্ঠী টিকিট পাওয়ায় হাজিবুল শেখ গোষ্ঠী যোগদান করে সিপিএমে। ভোটের ঠিক আগে, বোমাবাজির অভিযোগে, গ্রেফতার করা হয় হাজিবুলকে। যদিও হাজিবুলের অনুগামীরা সিপিএম প্রার্থী হিসাবেই লড়াই করেন। ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায়, জেলবন্দি হাজিবুল-সহ তাঁর অনুগামীরা বেশির ভাগ আসনে জয়ী হয়েছেন। ১৮ আসন বিশিষ্ট ভালুকা পঞ্চায়েতের আটটিতে জয় পায় সিপিএম। ছ’টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। তিনটি আসন পায় তৃণমূল। একটি আসনে জেতেন বাম-ঘনিষ্ঠ নির্দল প্রার্থী। সিপিএম ও বিজেপি এখানে প্রধান দুই শক্তি হলেও তৃণমূলের তিন জয়ী প্রার্থীর উপরে নির্ভর করছে ভালুকা পঞ্চায়েতের ভাগ্য।
সিপিএমের নদিয়া জেলার সম্পাদক সুমিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে বোর্ড করতে হলে আগে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করতে হবে। অন্যথায় আমরা কারও সমর্থন নেব না।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘ভালুকা পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গড়ছে এটা নিশ্চিত। খেলা হবে শেষ মুহূর্তে।’’ কৃষ্ণনগর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি কার্তিক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা সব দিকে নজর রাখছি। দলীয় নির্দেশ মেনে উন্নয়নের পক্ষে থাকব।’’