মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলকর্মী

তোলা চেয়ে না পেয়ে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক ও ব্যবসায়ীকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে কান্দির রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। তোলা না পেয়ে অভিযুক্ত ওই যুবক ওই ব্যবসায়ীর দোকানের কর্মী মানিক দাসকে শুক্রবার রাতে বেধড়ক মারধর করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৫ ০০:৪১
Share:

তোলা চেয়ে না পেয়ে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক ও ব্যবসায়ীকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে কান্দির রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। তোলা না পেয়ে অভিযুক্ত ওই যুবক ওই ব্যবসায়ীর দোকানের কর্মী মানিক দাসকে শুক্রবার রাতে বেধড়ক মারধর করে। জখম অবস্থায় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পুলিশ অবশ্য জখম ওই ব্যবসায়ী কৌশিক সেনগুপ্তের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রশান্ত ভক্তকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, গত দু’মাস ধরে তৃণমূলের ওই কর্মী তিরিশ হাজার টাকা চেয়ে হুমকি দিচ্ছিল। টাকা দিতে অস্বীকার করায় লাগাতার হুমকিও দেওয়া হয়। কৌশিকবাবু বলেন, “কান্দি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ, জেলা তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি উজ্বল মণ্ডল ও কান্দি শহরের নেতা সুশান্ত চন্দ্রের নাম করে ওই টাকা চায়। আমি তা না দিতে রাজি হলে আমাকে হুমকি দিতে থাকে।” অভিযোগ, কখনও ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি, কখনও মারধর করার হুমকি দেওয়া হয়।

শুক্রবার মাঝরাতে ওই ব্যবসায়ীর ম্যানেজার মানিক দাসকে ঘুম থেকে তুলে বেধড়ক মারধর করে। পর দিন সকালে অভিযুক্ত প্রশান্ত ভক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কৌশিকবাবু। দুপুরে দোকান বন্ধ করে কান্দি বাজার থেকে বিজয়নগর এলাকায় নিজের বাড়িতে যাওয়ার সময় কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ওই প্রশান্ত কৌশিকবাবুর পথ আটকায়। ফের ওই টাকা দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু কৌশিকবাবু টাকা দিতে অস্বীকার করলে শুরু হয় মার। মোটরবাইক থেকে নামিয়ে মাটিতে ফেলে কিল, চড়, ঘুষি, লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ীর ডান হাত ভেঙে যায়। কৌশিকবাবু বলেন, “আমি কংগ্রেসের সমর্থক। তোলা না দেওয়ায় আমাকে মারধর করা হয়েছে।

Advertisement

অভিযোগ স্বীকার করে কান্দি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, “কান্দিতে তোলা তো দূর চাঁদা পর্যন্ত তোলা পর্যন্ত হয় না। তবে প্রশান্ত ভক্ত দলের সক্রিয় কর্মী। তৃণমূল ওই অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। প্রশান্তকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।”

ওই ধরনের কর্মীকে দলে রাখার কারণ জানতে চাইলে ধনঞ্জয়বাবু বলেন, “এমন কাজ তো করে না। মদ খেয়ে হয়তো ওই কাজ করে ফেলেছে।” কান্দির এসডিপিও সন্দীপ সেন বলেন, “মারধরের একটি ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement