তৃণমূল কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত সিপিএম

ইন্দিরা আবাস যোজনার পাওনা টাকার একাংশ চাইতে গেলে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় বড়ঞা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পছিপাড়া গ্রামের ঘটনা। ওই ঘটনায় জখম প্রভাত অধিকারী কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বড়ঞা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৬ ০১:৪৮
Share:

ইন্দিরা আবাস যোজনার পাওনা টাকার একাংশ চাইতে গেলে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় বড়ঞা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পছিপাড়া গ্রামের ঘটনা। ওই ঘটনায় জখম প্রভাত অধিকারী কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারধরের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রভাতবাবু। যদিও অভিযুক্তদের পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।

Advertisement

পুলিশ স্থানীয় ও সূত্রে জানা গিয়েছে, পছিপাড়ার বাসিন্দা প্রভাত অধিকারী ইন্দিরা আবাস যোজনার অধীনে পাকা ঘর পান। অভিযোগ, প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা তাঁদের দিতে হবে বলে দাবি করেন পঞ্চায়েত সদস্য সিপিএমের দয়াময় দাস ও তাঁর অনুগামী আশোক বিত্তার। ওই যুবক টাকা দিতে অস্বীকার করেন।

তিনি জানান, সরকার ঘর তৈরির জন্য টাকা দিয়েছে। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর অনুগামী টাকা চাইছেন। ওই যুবক এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এ দিন টাকা চাওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রকাশ্যে বচসা শুরু হয়। প্রভাতবাবু বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও তার অনুগামীরা একশো প্রকল্পের টাকাও নয়ছয় করেন। সেই বিষয়েও প্রতিবাদ করেছিলাম। এ দিন দয়াময় দাসের উপস্থিতিতে তাঁর অনুগামী আশোক বিত্তার, ধানু বিত্তার আমাকে চড়, কিল, ঘুষি মারে। এমনকী রাস্তার ধারে পরে থাকা ইঁট দিয়েও আঘাত করে।’’ গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে স্থানীয় বাসিন্দারা বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Advertisement

যদিও ওই টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে দয়াময় দাস বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। আমি ওই মারামারির সময় ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। অশোক বিত্তার ওই যুবককে ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে মেরেছে। ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা চাওয়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি।” ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের নুরুল ইসলাম বলেন, “ওটা পারিবারিক ঘটনা। এখানে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য জড়িত নন।” তবে সিপিএমের বড়ঞা জোনাল কমিটির সম্পাদক আনন্দ মণ্ডল জানান, দল ওই ধরনের কাজকে একেবারেই প্রশ্রয় দেয় না। কেন এমন ঘটনা ঘটল তা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement