প্রতীকী চিত্র.
রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া শাসকদল। করোনা পরিস্থিতির মাঝেও তাঁরা দলের অন্য সংগঠনের পাশাপাশি সব মহিলা সংগঠনকেও মাঠে নামিয়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
জেলার প্রায় অর্ধেক ভোটার মহিলা। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের কাছে টানতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। দলের মহিলা সংগঠনকে দিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের খতিয়ান জেলা জুড়ে মহিলাদের সামনে তুলে ধরছে। কখনও ভার্চুয়াল কর্মসূচি কখনও বা অল্প সংখ্যক মহিলা কর্মীকে নিয়ে বুথে বুথে এই প্রচার কর্মসূচি করছে। জেলা মহিলা তৃণমূলের দাবি, জেলা জুড়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বুথের মধ্যে প্রায় দু’হাজার বুথে মহিলাদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের খতিয়ান নিয়ে মহিলা কর্মীরা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন। আগামীতে বাকি বুথগুলিতেও তাঁরা পৌঁছবেন বলে জানিয়েছেন।
মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদের কৃষি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার মহিলাদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে একাধিক প্রকল্প নিয়েছে। আমরা রাজ্য মহিলা তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে সেই সব প্রকল্পের বিষয় তুলে ধরে সব বুথেই প্রচার চালাচ্ছি।’’
করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রচার চালাচ্ছেন? তাঁর দাবি, ‘‘বুথ পিছু ২০ জন করে মহিলা কর্মীকে জড়ো করে প্রচার কর্মসূচি বোঝানো হয়েছে। তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপে প্রচারের লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। সেই লিফলেটে লেখা বিষয়গুলি তাঁরা বুথের অন্য মহিলাদের দিচ্ছেন, পড়শিদের বোঝাচ্ছেন। এ ভাবে আমরা মহিলাদের বোঝাচ্ছি।’’
তবে শাসকদলের মহিলা সংগঠনের এই কর্মসূচিকে আমল দিচ্ছে না বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে যেভাবে তছরুপ, দুর্নীতি, দলবাজি হচ্ছে তা সবাই জানেন। ফলে ওরা যতই উন্নয়নের ঢাক ঢোল পেটাক না কেন, তাতে মানুষের মন ভিজবে না। মুর্শিদাবাদ জেলা মহিলা কংগ্রেসের সহ সভানেত্রী তথা রানিনগরের বিধায়ক ফিরোজা বেগম বলেন, ‘‘মহিলা প্রকল্পের গাজর ঝুলিয়ে এখন গ্রামের মেয়েদের তোষণ করছে তৃণমূল। রাজ্য মহিলাদের জন্য কোনও প্রকল্প করেননি। ছাত্রীদের জন্য যে সব প্রকল্প করেছে তাতে দলবাজি, দুর্নীতি হচ্ছে।’’