চলছে কর্মিসভা। নিজস্ব চিত্র।
দলের মধ্যে উপদল তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে ফরাক্কায়, বলে তৃণমূলের প্রকাশ্য কর্মিসভায় অভিযোগ তুললেন ফরাক্কার দলীয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম।
শনিবার নিউ ফরাক্কা স্কুল মাঠে এই সভায় অবশ্য সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মইনুল হক সহ বেশির ভাগ বিধায়ক মন্ত্রী যোগ দেননি। কালীপুজোর দিন ফরাক্কায় একাধিক পুজোর উদ্বোধনে মইনুল হকের আমন্ত্রণে দলের মন্ত্রী, এমএলএ-রা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ও সাংসদ তথা জেলা সভাপতি খলিলুর।
ফরাক্কার শনিবারের এই সভা থেকে নাম না করে তাঁদের দিকেই উপদল তৈরির জন্য যে ভাবে আঙুল তুলেছেন বিধায়ক মনিরুল তাতে স্পষ্ট শুধু ফরাক্কা নয়,জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক জেলা জুড়েই গোষ্ঠী কোন্দল আরও প্রকট হয়ে উঠতে পারে। কদিন আগেই খোদ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেই সরাসরি তাঁকে নির্বাচনে হারাবার চেষ্টার অভিযোগ তোলেন শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম।
দলের জেলা সভাপতি খলিলুর অবশ্য এ দিন, দলের মধ্যেকার এই চাপানউতোর নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। তিনি বলেন, “দলকে শক্তিশালী করার জন্যই এগুলোকে তাদের পরামর্শ বলেই মনে করছি আমি। দলকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ায় আমার দায়িত্ব, কাউকে দূরে ঠেলে দেওয়া নয়।”
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই জেলায় ব্লক কমিটি বাতিল করে তৃণমূলের বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, দলীয় কমিটি না থাকলে বিধায়কভিত্তিক দলীয় কাজকর্মে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দলের সংগঠন বলে আশঙ্কা বাড়ছে দলের মধ্যে।
দলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান ও চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডলকে মঞ্চে বসিয়ে শনিবার মনিরুল সরাসরি বলেন, “যারা বিক্ষুব্ধ হিসেবে দলের বিরুদ্ধে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। কোনও গ্রামে সভা করতে গেলে প্রধান,অঞ্চল সভাপতিকে অনুমতি নিতে হবে ব্লক নেতৃত্বের কাছে। এটাই দলের পদ্ধতি।সিস্টেমকে বুড়ো আঙুল দেখাব, আমি ব্লক কমিটি মানব না, অঞ্চল কমিটিকে মানব না এ সব বরদাস্ত করব না। জেলার দুই নেতাকে বলব, যারা দলের বিরুদ্ধে এই সব কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ফরাক্কার দলের কর্মীদের আশ্বস্ত করুন। আমরা গোষ্ঠী কোন্দল চাই না, উপদল চাই না । এর ফলে আমাদের উন্নয়নের কাজটা পিছিয়ে যাবে। কারণ এই উপদল ও গোষ্ঠী কোন্দল মেনে নিতে পারব না। কেউ যদি ভেবে থাকে ফরাক্কায় উপদল তৈরি করব, তা হলে জানিয়ে রাখি এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে কথা বলব না।’’